টেক্সাসের মেক্সিকান রেস্তরাঁ। সেখানেই ডাকাতি করতে ঢুকেছিল এক দুষ্কৃতী। এদিকে সেই দুষ্কৃতীকে নিশানা করে গুলি করেন এক ক্রেতা। পরপর ৯বার গুলি। পরে ওই দুষ্কৃতীর মৃত্যুও হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঘটনা।
এদিকে সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাড়হিম করা সেই ভিডিয়ো। সিসি ক্যামেরার সেই ফুটেজ ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন দুষ্কৃতী আচমকাই রেস্তরাঁতে ঢুকে পড়েছে। এরপর সে বন্দুক দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা চাইছে। আতঙ্কে ক্রেতারা একে একে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। সেই টাকা কুড়িয়ে নিচ্ছে ওই দুষ্কৃতী। এরপর সে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় একজন ক্রেতা আচমকাই পকেট থেকে পিস্তল বের করেন। এরপর সেই পিস্তল দিয়ে তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুষ্কৃতী।
সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ঘটনা। বেলাইর বুলেভার্ড এলাকায় এই রেস্তরাঁটি রয়েছে। সেখানেই খাওয়াদাওয়া করছিলেন অনেকে। সেই সময় সশস্ত্র অবস্থায় এক যুবককে ঢুকতে দেখা যায়। মুখ মাস্কে ঢাকা। হাতে বন্দুক। সে ক্রেতাদের কাছ থেকে মানব্যাগ ও টাকা চাইছিল। আচমকাই ভয়াবহ ঘটনা। টাকা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল ওই দুষ্কৃতী। সেই সময় একজন ক্রেতা পেছন থেকে গুলি চালান। লুটিয়ে পড়ে দুষ্কৃতী। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
এদিকে যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিল তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। মূলত এই গুলিকাণ্ডের পেছনে ওই যুবকের কী ভূমিকা ছিল সেটাও দেখা হচ্ছে। এদিকে ওই ক্রেতা ৭০ দশকের মডেলের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে রেস্তরাঁতে এসেছিলেন। এদিকে জানা গিয়েছে ওই যুবক একের পর এক গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীকে নিশানা করে। শেষ গুলিটা মাথায় করা হয়। এরপর যে অর্থ ওই দুষ্কৃতী সংগ্রহ করেছিল সেগুলি সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের কাছে তিনি ফেরৎ দেন। এরপর তিনি রেস্তরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তারপর পুলিশ আসে।
এদিকে এই ঘটনায় আর কোনও স্টাফ বা ক্রেতা জখম হননি। তবে পুলিশের তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই দুষ্কৃতীর হাতে যে বন্দুকটি ছিল সেটা আসলে ভুয়ো। খেলনা বন্দুক নিয়ে সে ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করতে এসেছিল। সেটি আসলে প্লাস্টিকের একটি বন্দুক। কিন্তু গুলি খেয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল তার।