স্বাতী ভাসিন
হিমাচল প্রদেশের কাংরাই স্থায়ী বাসস্থান। আর কোনওদিন চিনে ফিরতে চান না দলাই লামা। সেই ১৯৫৯ সাল থেকে তিব্বতের ১৪তম দলাই লামা হিমাচলের ধর্মশালায় বসবাস করেন।চিনের সেনা যখন লাসাতে আগ্রাসন চালিয়েছিল তারপর থেকেই তিনি অন্য়ত্র চলে যেতে বাধ্য হন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তাওয়াং সেক্টরে ভারত-চিন বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দলাই লামার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল। তার জবাবে তিনি জানান, সাধারণভাবে ইওরোপ, আফ্রিকা, এশিয়াতে বিষয়গুলির উন্নতি হচ্ছে। চিনও কিছুটা হলেও শিথিল হচ্ছে। তবে চিনে ফেরার আর কোনও ব্য়াপারই নেই। আমি ভারতকেই পছন্দ করি, সবথেকে ভালো জায়গা। তিনি আরও জানিয়েছেন, কাংরা পণ্ডিত নেহেরু। এটা আমার স্থায়ী বাসস্থান।
সংবাদ সংস্থার তরফে একটি ভিডিয়ো টুইট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করছেন তিনি। দলাই লামাকে আগের ত্রয়োদশ দলাই লামার উত্তরসুরী বলে মনে করা হয়। তাঁকে বোধিসত্ত্বের প্রতীক বলে গণ্য করা হয়। মাত্র যখন তাঁর ২ বছর বয়স তখন তাঁর নাম ছিল লামো ধোন্দুপ। সেই সময় তাঁকে দলাই লামা বলে মনোনীত করা হয়েছিল।
ওয়েবসাইট সূত্রে খবর, তিব্বতের প্রশ্নের মীমাংসা করার জন্য জাতিসঙ্ঘের কাছেও আবেদন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তিব্বতীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হয়েছিল। ১৯৫৯, ১৯৬১ ও ১৯৬৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় তিনটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল।
তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যখন চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের আরও অবনিত হয়েছে তখন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন দলাই লামা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আর চিনে ফেরার ব্যাপার নেই। ভারতকে সর্বোত্তম জায়গা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।