ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানে চেপে 'সর্টি'তে গেলেন দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে ভারতের ইতিহাসে শুধুমাত্র এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাতিল রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন এই কাজ করেছিলেন। আজ অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে সাওয়ার হন রাষ্ট্রপতি। জলপাই রঙের পোশাক এবং সঙ্গে ব্যালিস্টিক হেলমেট পরে ৩০ মিনিট ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ওপর সুখোইতে চেপেয় ওড়েন রাষ্ট্রপতি। (আরও পড়ুন: ঢুকছে বাতাস, ৪০ ডিগ্রি ছুঁবে পারদ, এর মধ্যে বাংলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আছে কি?)
আজ তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি হওয়ায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক দ্রৌপদী মুর্মু। সুখোই চাপার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বায়ুসেনা ঘাঁটির পরিদর্শক খাতায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, 'ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী সুখোই-৩০- এমকেআই যুদ্ধবিমানে ওড়া আমার কাছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই উড়ান আয়োজনের জন্য আমি তেজপুরের বিমান ঘাঁটির সমস্ত বায়ুসেনা কর্মী এবং অফিসারদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।' রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে আরও লেখেন, 'এটা গর্বের বিষয় যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি আজ জল, স্থল এবং আকাশে সুদৃঢ় ভাবে প্রসারিত।' জানা গিয়েছে, সুখোই-৩০ এমকেআই-এর দু’আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমানে চেপেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সঙ্গে সহকারী পাইলটের আসনে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চালক। (আরও পড়ুন: দিল্লিতে ডিএ ধরনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্ত, আজই রওনা দেবেন সরকারি কর্মীরা)
এর আগে ২০০৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল মহারাষ্ট্রের পুণে বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই যুদ্ধবিমানে চেপেছিলেন। তাঁরপর দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ সুখোইতে চাপলেন দ্রৌপদী মুর্মু। আজ তিরিশ মিনিট সুখোইতে চেপে আকাশে ওড়েন তিনি। তেজপুর এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ওপর দিয়ে উড়ে যায় তাঁর বিমান। বিমান থেকে সুদূর হিমালয়ের শূঙ্গমালাও দর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। এই উড়ানের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে। এদিকে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাষ্ট্রপতির সফরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন এবং বায়ুসেনার তরফে।