জাহিদ নেওয়াজ খান
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কেননা আমার বয়স ৫০ বছর। কাজেই আমি স্বাধীনতার সমপ্রজন্মের মানুষ। ছোটবেলায় বড়দের মুখে অনেক গল্প শুনেছি। পরে অবশ্য বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছি। আমাদের স্বাধীনতার শ্লোগান হল জয় বাংলা। কিন্তু একটা সময় এই শ্লোগান মুছে ফেলা হয়েছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সবাই পাকিস্তানপন্থী। আমাদের পাঠ্য বইয়ে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অনেক ছোট করে লেখা থাকত। যা তাঁকে বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অনেক কথা জেনেছি। বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কার্যকলাপকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। আমাদের প্রজন্মের মধ্যে এই বিষয়ে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সত্য কোনওদিন চাপা থাকে না। এক সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আমারা লক্ষ্য করেছি। এটাই কিন্তু বাংলাদেশকে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
পরে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি আওয়ামী লীগের হাত ধরে। যদিও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা আছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। তবু বলব মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের অনেক ভাল কাজ আছে। ১৯৭১ এর যুদ্ধে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বহু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরায়। এই ইতিহাস তো কোনওদিন পালটানো যাবে না।
ভারত বাংলাদেশের কূটনীতিক সম্পর্ক নিয়ে এখন নানা জনের নানা মত থাকতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনতার সময় ভারতের অনেক সৈনিক প্রাণ দিয়েছিলেন-- এ কথা মানতে হবে। আমার সোনার বাংলার অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছে ৭১ এর যুদ্ধে। আমরা তাঁদের সব সময় স্মরণ করি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আগামী ৫০ বছরে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।