ব্যাঙ্ক ঋণের আবেদন জানানোর সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়ো লাভের খতিয়ান পেশ করেছিল ব্যাঙ্ক প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়ার মালিকানাধীন কিংফিশার এয়ারলাইন্স। মালিয়ার বিরুদ্ধে বন্দি প্রত্যর্পণ মামলার শুনানিতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস হাইকোর্টে এই অভিযোগ জানাল ভারত সরকার।
শুনানিতে ভারত সরকারের তরফে ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) অভিযোগ করেছে, মালিয়া ও তাঁর মালিকানাধীন উড়ান সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জুয়াচুরির জোরদার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
হাইকোর্টের শুনানিতে বিচাররপতি আরউইন ও বিচারপতি এলিজাবেথ লেইংকে সিপিএস-এর আইনজীবী মার্ক সামার্স জানান, সত্য প্রতিষ্ঠা করা নয়, প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও মামলা রয়েছে কি না, ব্রিটিশ আদালতের শুধু সেই বিষয়েই প্রমাণ দাখিল করা প্রয়োজন।
সামার্স আরও বলেন, এ পর্যন্ত মালিয়ার বিরুদ্ধে যাবতীয় দরকারি সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে জমা পড়েছে এবং আদালত তার রায়ে মালিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রমাণ পেয়েছে, যার বিচারের প্রয়োজনে মালিয়াকে ভারতে ফেরত পাঠানো জরুরি।
ফেরার শিল্পপতির বিরুদ্ধে ভারতে নিম্ন আদালতে দায়ের করা মোট তিনটি অভিযোগ রয়েছে, যা তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সহায়ক হতে পারে। এই তিন অভিযোগ হল- ঋণের জন্য আবেদনে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো খতিয়ান পেশ করা, ঋণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থের সঠিক ব্যয় না করা এবং ঋণ শোধের বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আনৈতিক আচরণ।
বুধবার মালিয়ার আইনজীবী ক্লেয়ার মন্টগোমারি ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর সওয়ালে বলেন, এই মামলা অসংখ্য নথিতে উল্লেখ করা তারিখ, পারস্পরিক ই-মেল চালাচালি এবং হিসেবের জেরে জটিলতম হয়ে উঠেছে। ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের বিচারপতি এমা আর্বাথনটের রায়কে তিনি ‘একাধিক ভ্রান্তিতে দুষ্ট’ বলে বর্ণনা করেন।
মন্টগোমারির দাবি, আইডিবিআই, এসবিআই এবং কিংফিশার এয়ারলাইন্সের তরফে জমা দেওয়া নথি বুঝতে ভুল করেছেন বিচারপতি। তাঁর দাবি, ‘কিংফিশার এয়ারলাইন্সে আর্থিক ক্ষতির সপক্ষে জমা পড়া হিসেবপত্র ও নথি বুঝতে ভুল করেন আর্বাথনট।’
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। আগামী সপ্তাহে বিজয় মালিয়া প্রত্যর্পণ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।