শিরোনামে বিজয় মালিয়া, কিংফিশার ভিলার মালিক এখন কে জানেন?

সম্প্রতি উদ্যোগপতি রাজ শামানির একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৯০০০ কোটির আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি ভারত ছেড়ে পালাননি। পূর্বনির্ধারিত কাজের জন্য দেশ ছাড়েন। এরপর থেকেই তিনি ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন।একই সঙ্গে বিজয় মালিয়ার সঙ্গেই উঠে আসছে এক অভিনেতার নাম। আর তার নেপথ্যে রয়েছে এককালে মালিয়ার সম্পত্তি কিংফিশার ভিলা। (

২০১৭ সালে গোয়ায় সমুদ্রের তীরের এই বিলাসবহুল ভিলাটি কিনেছিলেন অভিনেতা-ব্যবসায়ী সচিন জোশী।এর আগেও তিনবার নিলামে বিক্রির চেষ্টা হয়েছিল ভিলাটি। তবে কোনও বারই সফল হয়নি।গোয়ার ক্যান্ডোলিমে রয়েছে এই কিংফিশার ভিলা। এক সময় এই ভিলাই ছিল মালিয়ার পছন্দের হলিডে ডেস্টিনেশন। বলি সেলিব্রিটিদের নিয়ে এক সময় এই ভিলাতে বহু পার্টিও করেছেন তিনি। ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ করতে না পারায় বাজেয়াপ্ত করা হয় এই সম্পত্তি।৭৩ কোটি টাকায় কিংফিশার ভিলা কিনে নেন ভাইকিং মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টের মালিক সচিন যোশী এবং তাঁর স্ত্রী। (

২০১১-য় সচিন প্রথম হিন্দি ছবি করেন, আজান। শেষ দেখা যায় জ্যাকপট-এ, সানি লিওনের সঙ্গে রোমান্স করছেন।সেই সচিন জোশীই ৭৩.০১ কোটি টাকা গাঁটগচ্চা দিয়ে কিনে ফেলেন বিজয় মালিয়ার কিংফিশার ভিলা। জেএমজে গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক জগদীশ জোশীর ছেলে সচিন তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত নাম। তিনি প্রযোজকও। স্পা, পানীয়, হোটেল- নানা ব্যবসা আছে তাঁর। ফলে ৭৩ কোটি টাকা জোগাড় তেমন কিছু কঠিন হয়নি তাঁর কাছে।বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের ঋণ না মিটিয়ে লন্ডন পাড়ি দিয়েছেন বিজয় মালিয়া। তারপর থেকেই ব্যাঙ্কগুলি তাঁর সম্পত্তি বেচে ওই টাকা তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু একের পর এক নিলামেও কিংফিশার ভিলা বিক্রি হয়নি। সমুদ্রমুখী এই ভিলা বারবার নিলামে উঠেছে। বহু আগ্রহী ক্রেতা এসেছেন কিন্তু ৮৫ কোটি টাকা দাম শুনে পিছিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। বাধ্য হয়ে ভিলার দাম কমিয়ে করা হয় ৮১ কোটি। কিন্তু তারপরেও দাম ওঠেনি। এ বছর মার্চে শেষ যে নিলাম হয়, তাতে দাম হাঁকা হয় ৭৩ কোটি। তখন সচিন জোশী সেটি কিনে নেন।পরে ভিলার নাম পরিবর্তন করে রাখেন কিংস ম্যানশন।

উল্লেখ্য, ‘কিংফিশার’ উড়ান সংস্থার (বর্তমানে অস্তিত্বহীন) মালিক ছিলেন বিজয় মালিয়া। ১৭টি ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য প্রায় ন’হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা মেটাতে না পারায় ২০১৬-র মার্চ মাসেই দেশ ছাড়েন কিংফিশার কর্তা। এরপরই তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল লন্ডনে গ্রেফতার হন তিনি। ভারতে ঋণখেলাপ-সহ একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু গ্রেফতারির তিন ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান তিনি।