পালানোর সময় পুলিশের গুলি বিঁধে রক্তক্ষরণ ও শক-এর কারণে মৃত্যু হয়েছে কানপুরের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের। এমনই জানা গিয়েছে তার ময়না তদন্ত রিপোর্টে।
গত ১০ জুলাই মধ্য প্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে পালাবার চেষ্টা করে কুখ্যাত অপরাধী বিকাশ দুবে। সেই সময় উত্তর প্রদেশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স-এর ছোড়া গুলি লেগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। ময়না তদন্ত রিপোর্ট সেই দাবিকেই সমর্থন করল।
তার আগে, গত ৩ জুলাই কানপুরের চৌবেপুরের বিকরু গ্রামে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশবাহিনীর উপরে হামলা চালায় বিকাশের দলবল। ঘটনায় ৮ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এবং সদলবলে গ্রাম ছেড়ে পালায় দুবে। ৯ জুলাই তাকে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর পাঠায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর পর মধ্য প্রদেশ পুলিশ এসে তাকে মন্দির চত্বর থেকে গ্রেফতার করে। এর পর উত্তর প্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক বিশেষ টাস্ক ফোর্স বিকাশকে নিয়ে কানপুরের পথে রওনা দেয়। পথে পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এক পুলিশকর্মীর বন্দুক ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে গ্যাংস্টারের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তার দেহে মোট ৪টি বুলেট পাওয়া গিয়েছে।
এ দিকে, ১০ জুলাইয়ের সংঘর্ষ ‘ভুয়ো’ বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতারা। তার জেরে ওই ঘটনার তদন্ত করতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস কে আগরওয়ালের নেতৃত্বে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। দুই মাসের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা।
অন্য দিকে, বিকাশের দুই শাগরেদ জয়কান্ত বাজপেয়ি ও প্রশান্ত শুক্লাকে ৩ জুলাই পুলিশকর্মীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
এএনআই জানিয়েছে, সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজে পুলিশ দাবি করেছে, ‘ ১ জুলাই ফোনে বাজপেয়ির সঙ্গে কথার ভিত্তিতে পরের দিন দুই শাগরেদের সঙ্গে দেখা করে বিকাশ দুবে। তারা দুবেকে ২ লাখ টাকা ও ২৫টি রিভলভার দেয়। ৩ জুলাইয়ের ঘটনার পরে তারাই তিনটি গাড়িতে তাকে পালাতে সাহায্য করে। কিন্তু পুলিশ সতর্ক থাকায় ৪ জুলাই তারা গাড়িগুলি ছেড়ে দেয়।’
ধৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, অস্ত্র আইন এবং সংশোধিত অপরাধ আইনের বিবিধ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।