তিনটি বুকে, একটি হাতে - কিন্তু বিকাশ দুবের পায়ে কোনও গুলি লাগেনি। কানপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে একথাই জানানো হয়েছে।
কানপুরের লালা লাজপত রায় হাসপাতালের অধ্য়ক্ষ আর বি কমলকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলে, ‘বিকাশ দুবের বুকে তিনটি গুলির আঘাত লেগেছিল এবং হাতে একটি বুলটে ক্ষত ছিল।’ প্রোটোকল অনুযায়ী অবশ্য পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ফলে স্বভাবতই এনকাউন্টার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
যদিও আগেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কানপুরে আসার পথে শুক্রবার ভোরের দিকে কনভয়ের একটি এসইউভি গাড়ি উলটে যায়। সেই গাড়িতেই ছিল বিকাশ। সেই সময় এক পুলিশকর্মীর বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। কাছের একটি মাঠে দৌড়ে যায় এবং তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু সে গুলি চালাতে থাকে। পালটা গুলি চালায় পুলিশ। আহত হয় বিকাশ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।
কানপুরের আইজি মোহিত আগরওয়ালকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পথ দুর্ঘটনার পর পালানোর সময় এনকাউন্টারে বিকাশের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, এনকাউন্টারে পুলিশের তিন সাব-ইন্সপেক্টর, এক কনস্টেবল এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) দু'জন কমান্ডো আহত হয়েছেন।