বিকাশ দুবে এনকাউন্টারের ঘটনায় গাড়ি রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। তার জেরে একাধিক অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ৭-৭.৩০ টা নাগাদ পর এনকাউন্টারের পর মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে কানপুরগামী একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, সকালে কানপুর যাওয়ার পথে একটি টোল প্লাজা পার করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) একটি কনভয়। তাতে সাদা রঙের একটি গাড়িতে ছিল বিকাশ। তার কিছুক্ষণ পরই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তার।
এসটিএফের তরফে জানানো হয়েছে, কানপুরের সচেন্দ্রী থানায় একটি হাসপাতালের সামনে পৌঁছাতে গাড়ির সামনে আচমকা গরু, মোষের দল চলে আসে। সেই পশুর পালকে বাঁচাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং গাড়িটি উলটে যায়। সেই গাড়িটির রংও ছিল সাদা। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই টোল প্লাজা দিয়ে যে গাড়ি গিয়েছিল, সেটি এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (পুলিশের দাবি অনুযায়ী) আলাদা সংস্থার।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তোলা সেই ভিডিয়ো অনুযায়ী, টোল প্লাজা পার হওয়ার সময় টাটা সাফারি গাড়িতে ছিল বিকাশ। কিন্তু উলটে থাকা গাড়িটি ছিল মাহিন্দ্রা টিইউভি। পুলিশও তো দাবি করেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গাড়িতেই বিকাশ ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ওই সময়ের মধ্যে গাড়ি কীভাবে পালটে গেল?
তবে এনকাউন্টার এসটিএফের তরফে লম্বা বিবৃতি দেওয়া হলেও গাড়ির বিষয়ে কোনও মুখ খোলা হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কানাঘুষো বেড়েই চলেছে।