শুক্রবারের দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং হাজারের উপরে অসুস্থ হওয়ার জেরে শনিবার সকালে এল জি পলিমার্স কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নামলেন গ্রামবাসীরা।
এ দিন বিশাখাপত্তনমের কাছে আর আর ভেঙ্কটপুরম গ্রাম ও সংলগ্ন কয়েকটি জনপদের বাসিন্দারা পলিমার্স কারখানায় প্রবেশ করে তা বন্ধ করার দাবি জানাতে থাকেন।
শুক্রবার এই কারখানা থেকেই বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক করে আর আর পুরমের ১২ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং প্রায় এক হাজার মানুষ অসুস্থ হন।
এ দিন যে সময় কারখানা চত্বরের সামনে জড় হয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় কিং জর্জ হাসপাতালের মর্গ থেকে কয়েক জন হতভাগ্যের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে গ্রামে ফেরার পথে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীরা অ্যাম্বুল্যান্স আটকে মৃতদেহ নিয়ে কারখানার ফটকের সামনে ধরনায় বসেন।
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকে মৃত ১২, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, আশ্বাস পুলিশের
একটু বেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছান পুলিশের ডিজি গৌতম সাওয়াং। তাঁর আসার আগে বিক্ষোভকারীদের সরাতে হিমশিম খায় পুলিশ। ডিজিপি পৌঁছলে তাঁর পায়ে পড়ে বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন এক মহিলা বিক্ষোভকারী। বহু কষ্টে কর্তব্যরত কনস্টেবলরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। জোরালো নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ডিজি-কে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর গাড়িতে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর দাবি, দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও গ্যাস লিক কাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভিড় সরাতে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গোপালপটনম থানায়। কিন্তু কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তাঁদের জায়গা নেন গ্রামের অন্য বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ গ্যাস লিক বিশাখাপত্তনমে, মৃতদের পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এর পরে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেন বিশাখাপত্তনমের পুলিশ সুপার আর কে মীনা। কারখানা চত্বর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।
তচাঁদের শান্ত করার চেষ্টায় শাসকদল ওয়াইএসআর-এর কয়েক জন নেতা সরকারি হদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও মানতে রাজি হননি গ্রামবাসী।