সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ছবি। তাতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ করার জন্য তা বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ওড়িশার বারগড় জেলার। মৃত ব্যক্তির শবদেহের ময়নাতদন্ত করেন এক দলিত চিকিৎসক। আর তাই মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে অস্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, দিনমজুর মুছুনু সান্ধা লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়। শুক্রবার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর মরদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামে, মুছুনুর লাশ তাঁর বাড়ির ভিতরেই পড়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ। তাঁর শবদেহের পাশে বসে কাঁদতে থাকেন তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী, তিন বছরের মেয়ে এবং তাঁর মা। তবে গ্রামের কেউ বা মুছুনুর কোনও আত্মীয় শেষকৃত্যের জন্য আসেনি।
পরে গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপঞ্চের স্বামী সুনীল বেহেরা তাঁর বাইকে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে সুনীলই টাকা জোগাড় করে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মুছুনের দেহ গ্রামে নিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে সুনীল বলেন, ‘তিনি (মুছুনু) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা প্রায় আট হাজার টাকা সংগ্রহ করে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সের টাকা চুকিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন গ্রামবাসীরা। যাদের ময়নাতদন্ত করা হয় তাদের শেষকৃত্যের জন্য তারা আসে না। পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্য না থাকায় আমাকে আমার বাইকে করে লাশ শ্মশানে নিয়ে যেতে হয়েছিল।’