এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবকের নজিরবিহীন শাস্তি দিলেন গ্রামবাসীরা। গণধর্ষণের অপরাধের বিচার হিসেবে দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হল। পরে দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার নুহ জেলার চিলাওয়ালি গ্রামে। অভিযুক্ত দুই যুবকের নাম ইরফান এবং ফারদিন। আরও অভিযোগ, তারা এলাকার মেয়েদের নানাভাবে উত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে সদর তৌরু থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জনজাতি বৃদ্ধাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ গোসাবায়, লাগাতার অত্যাচারে মৃত্যু, গ্রেফতার যুবক
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোররাতে। ওই নাবালিকা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল। সেই অবস্থায় তাকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে দুই যুবক গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার কথায়, ‘দুজনেই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা আমাকে ছুরি দেখিয়ে অপহরণ করে এবং নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তারা আমাকে গণধর্ষণ করে।’ শুধু তাই নয়, নাবালিকাকে গণধর্ষণের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে তারা। কাউকে জানালে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করা এবং হত্যার হুমকি দেয় যুবকরা।
দুই যুবকের বিরুদ্ধে সদর তৌরু থানায় বিএনএসের ধারা ৩৫১ (৩), ৯৬, ৩৩২ (বি) এবং পকসো আইনের ধারা ৬-এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। সদর তৌরু থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘নাবালিকার অভিযোগের পর একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা তাদের হস্তান্তর করার পর আমরা উভয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।’
জানা গিয়েছে, এদিন গণধর্ষণে বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রথমে গ্রামবাসীরা দুই যুবককে ধরে ফেলেন এবং তারা দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দেন। পুলিশকে জানানোর আগে এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। পরে দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা কিছুদিন ধরেই এলাকার মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল। তারা চিরকুটে অশ্লীল মন্তব্য লিখত এবং মেয়েদের দিকে ছুঁড়ে মারত। কখনও রাস্তায় তাদের থামাত এবং স্কুলের বাইরে তাদের উত্যক্ত করত। এনিয়ে গ্রামবাসীরা তাদের একাধিবার সতর্ক করেছিলেন। গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছিল। তারপরেও তাদের আচরণের পরিবর্তন হয়নি। এক গ্রামবাসী জানান, তারা সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। তাই তাদের শায়েস্তা করতে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গ্রামের একজন পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘এই যুবকরা সবসময়ই উপদ্রব চালাত এবং পুলিশের ভয় পেত না। আমরা যদি আগে পুলিশকে ফোন করতাম, তাহলে হয়তো তাদের সহজেই ছেড়ে দেওয়া যেত। গ্রাম তাদের এমন একটি শিক্ষা দিয়েছে যা তারা কখনও ভুলবে না।’