গ্রামীণ নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার পড়শি রাজ্য ওডিশায়। পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা ওডিশায়। এই নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ ছিল বুধবার। সেই ভোটগ্রহণের সময়ই ৪ সাংবাদিকসহ মোট অর্ধসতাধিক মানুষ জখম হন রাজনৈতিক হিংসার জেরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেন।
পুরী জেলার কৃষ্ণপ্রসাদ ব্লকের তিছিনি গ্রামে আলান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই হামলার জেরে কমপক্ষে ৪০ জন জখম হন। পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ জনের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একই জেলার কানাস ব্লকের অধীন বাদালা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থানীয় টিভি চ্যানেলের চার সাংবাদিকের উপরও হামলার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঢেঙ্কনাল জেলাতেও হিংসার ঘটনা হয়। জানা গিয়েছে, গোন্দিয়া ব্লকের নিহালপ্রসাদ গ্রামে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যালট নিয়ে পালানোর আগে বুথের প্রিসাইডিং অফিসার পূর্ণচন্দ্র রাউলের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই আক্রমণের জেরে তিনি জখম হন। এদিকে আরও এক ঘটনায় জজপুর জেলার রুদ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে পাঁচজন জখম হন। কটক জেলার সলিপুর এলাকায়, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা বিজু জনতা দল নেতা দিলীপ দাসের বাড়িতে বোমা ছুঁড়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। দিলীপ দাস সলেপুর এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ছেন। এই ঘটনায় দিলীপের স্ত্রী জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই হিংসার ঘটনায় বিজেপি অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল বিজেডির দিকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বিজেপি বিধায়ক ললিতেন্দু বিদ্যাধর মহাপাত্র। যদিও বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে উল্টে বিজেপির ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন বিজেডি মুখপাত্র লেনিন মোহান্তি।