সদ্য এক পিজিকে ঘিরে বেঙ্গালুরুর বিটিএম লেআউটে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পিজির পড়ুয়াদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি পিজির মালিককেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে। গোটা ঘটনায় পিজি-টি যে বিল্ডিং এ রয়েছে, তার মালিকের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে, যে যুবকরা পিজিতে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারাও বিল্ডিংএর মালিকেরই চেনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গোটা ঘটনা তুলে পোস্ট করেন এক নেটিজেন। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাতে পিজির ভিতর হঠাৎ করে কয়েকদল যুবক ঢুকে পড়ে। তারা পিজিতে থাকা পড়ুয়াদের থেকে টাকা চায় বলে খবর। তারা দাবি করে, বিল্ডিংএর মালিক এই টাকা চেয়েছেন। এদিকে, পড়ুয়ারা টাকা দিতে রাজি হননি। তাঁরা দাবি করেন যে, তাঁরা ইতিমধ্যেই টাকা দিয়ে দিয়েছেন পিজির আসল মালিককে, তাও এক সপ্তাহ আগে তা দেওয়া হয়েছে। ফলে আর কোনও টাকা দেওয়া হবে না।
সেই পোস্টে জানানো হয়, পিজিতে থাকা পড়ুয়াদের তরফে টাকা না দেওয়ার বার্তা পেয়েই তাঁদের গালি দিতে শুরু করা হয়। ওই যুবকরা পিজিতে তাণ্ডব চালায়। পিজির এক পড়ুয়ার সমস্ত জিনিস বাইরে ফেলতে শুরু করে যুবকরা। একজন পিজি পড়ুয়াকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। একজন পড়ুয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
এমন মারপিটের সময়ই পিজির মালিক সেখানে ছুটে আসেন। তখন তাঁকেও মারধর করা হয়। এই পরিস্থিতিতে দেখা যায় এক মহিলা সেখানে এসেছেন। মহিলা এসেই পিজির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। এরপরও পিজির মালিককে মারধর করা হয়। পড়ুয়াদের গালাগালি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এদিকে, পিজির ভিতরে কোনও এক জায়গায় পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত জিনিস রেখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পিজির ভিতর পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড যে রুমে রাখা ছিল সেটিকে বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ। এরফলে বহু পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে বা ইন্টারভিউ দিতে পারবেনা বলে আশঙ্কা।
এদিকে, অভিযোগ, পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভের লাভ হয়নি। পুলিশ সেখানে বহুবার গিয়েছে, তবে সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোটা পর্বটি চলেছে। ১২ ডিসেম্বরের রাতে পিজিতে অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই এক্স পোস্টে দাবি করা হয়, পুলিশ ও মানুষের সহযোগিতা চাইছে পিজিতে থাকা পড়ুয়ারা।