বাড়ির মধ্যে ঢুকে খুন করা হল বিকাশশীল ইশান পার্টির প্রধান মুকেশ সাহানির বাবাকে। বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বারভাঙা জেলার বিরাউল ব্লকের আজফাল্লা জেলার পঞ্চায়েতে পৈতৃক বাড়িতে ঢুকে বিকাশশীল ইশান পার্টির প্রধানের বাবা জিতনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মেঝেতে একটি গদির উপরে তাঁর দেহ পড়েছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারিদিক। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বলেন, ‘(দোষীদের বিরুদ্ধে) কড়া পদক্ষেপ করা হবে। দোষীদের জেলে ঢোকানো হবে। মুকেশ সাহানির পরিবারের পাশে আছে সরকার।’
পুলিশ কী জানিয়েছে?
তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে একটি ডগ স্কোয়াডকে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসেছেন দ্বারভাঙার স্পেশাল পুলিশ সুপার জগন্নাথ জালা রেড্ডি। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। আমরা সবদিক বিবেচনা করে দেখছি। খুনের পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (সদর দফতর) জিতেন্দ্র সিং গাঙ্গোয়ার বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্তের জন্য, দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য দ্বারভাঙার স্পেশাল পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। আমরা দ্বারভাঙা এবং সংলগ্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান চলছে। ফরেন্সিক দল এবং ডগ স্কোয়াডকে পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’
বাড়িতে ছিলেন না মুকেশ
এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সোমবার বাড়িতে ছিলেন না মুকেশ। মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি বলেন, 'এমনিতে গ্রামে একাই থাকতেন জিতন। তাঁর দুই ছেলে এবং এক মেয়ে আছেন।' আপাতত বাবার হত্যার ঘটনায় বিকাশশীল ইশান পার্টির প্রধানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যিনি বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে সামিল হন। লোকসভা ভোটে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। বিহারের মন্ত্রীও ছিলেন।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের
জেডিইউ-বিজেপি জোটের সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব বলেন, 'গত কয়েকদিনে বিহারের পরপর খুনের ঘটনা ঘটছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুতেই সামলাতে পারছে না রাজ্য সরকার। অপরাধীদের হাতে চলে গিয়েছে বিহার। এটাই কি বিহারের ভালো প্রশাসনের নমুনা?'