সরকার গঠনের পর থেকেই বারবার 'ভিআইপি সংস্কৃতি'র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিগত প্রায় সাড়ে আট বছরে ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ করতে অনেক নীতি বদল করা হয়েছে। এবার হজ যাত্রা থেকে ভিআইপি সংস্কৃতি মুছে ফেলতে উদ্যত হল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানালেন, সাংবিধানিক পদ এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের জন্য উপলব্ধ হজ কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে এবার থেকে কোনও সরকারি আমলা, বিধায়ক, সাংসদ এবং তাঁদের পরিবার ভিআইপি কোটায় হজ করতে সৌদিতে যেতে পারবেন না। এতদিন এঁদের জন্য ভিআইপি কোটা চালু ছিল। (আরও পড়ুন: 'এটা বায়োলজিকাল...', সমকামীদের প্রতি সমর্থন RSS প্রধান মোহন ভাগবতের)
এর আগে সোমবার সৌদি আরব সরকার ঘোষণা করেছিল, এ বছর হজযাত্রায় বয়সসীমা ও পুণ্যার্থীদের সংখ্যার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। কোভিডের জেরে এর আগে হজ যাত্রীদের সংখ্যার ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সৌদি আরব। তবে এবছর কোভিডের বাড়বাড়ন্ত না থাকায় হজ যাত্রীদের সংখ্যার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকল না। ফলে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হজ যাত্রায় আসতে পারবেন। সোমবারের ঘোষণার পরই বুধবার ভিআইপি কোটা বন্ধের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্মৃতি ইরানি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সংল্প নিয়েছেন যে দেশে কোনও ভিআইপি সংস্কৃতি থাকবে না। সেই সংকল্পের অংশ হিসেবেই হজের ভিআইপি কোটার নিয়ম বাতিল করা হল।
আরও পড়ুন: 'বিদ্বেষ ছড়ায় রামচরিতমানস', বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী
ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। আগের ইউপিএ সরকারকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, কারও কারও জন্য এভাবে বিশেষ কোটা রেখে বাকিদের বঞ্চনা করা হত। তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, তিনি ও মন্ত্রীরা হজ কমিটিকে এই কোটা বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেন। এই প্রস্তাবকে বিভিন্ন রাজ্যের সমস্ত হজ কমিটিও সমর্থন করেছিল। এরপর এই হজ প্রক্রিয়ায় ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ২০১২ সালে যখন এই কোটা ব্যবস্থা চালু হয়, তখন এই কোটার অধীনে প্রায় ৫ হাজার আসন বরাদ্দ ছিল। এখন থেকে আর কোনও আসন বরাদ্দ থাকবে না বিশেষ কারও জন্য। তাই সাধারণ মানুষের হজে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।