বিমানের বাথরুমে গিয়েছিল নয় বছর বয়সী বাচ্চা মেয়েটি। গোপন ক্যামেরায় তোলা হয়েছে তার ভিডিয়ো। অভিযুক্ত কোম্পানির সদস্য। অস্বস্তিকর অভিযোগ উঠতেই পাল্টা এমনই কিছু বলে বসেছে বিমান সংস্থাটি যে রাগ সামলাতে পারছেন না নেটিজেনরা।
- আসল ঘটনাটি কী ঘটেছে
নয় বছর বয়সী এক বাচ্চা মেয়ের, বিমানের বাথরুম ব্যবহার করার সময় গোপনে ভিডিয়ো করার অভিযোগে একটি মামলার অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া দিয়ে, প্রবল নিন্দার মুখে আমেরিকান এয়ারলাইনস। কোম্পানির একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলা নিয়ে হুলুস্থল। কোম্পানির আইনি দল ওই একরত্তির উপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে, পরামর্শ দিয়েছে যে লুকনো রেকর্ডিং ডিভাইস সম্পর্কে তারই জানা উচিত ছিল।
- কীভাবে ধরা পড়েছিল অভিযুক্ত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট
গত বছরের গ্রীষ্মে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে নিযুক্ত থাকাকালীন এস্টেস কার্টার থম্পসন, নিজের সেল ফোন দিয়ে বোস্টনগামী একটি ফ্লাইটের বাথরুমে ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ের ভিডিয়ো করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময়ই ধরা পড়েছিল সে। তদন্ত শুরু হলে আরও চারটি মামলার কথা উঠে আসে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর আইক্লাউড অ্যাকাউন্টে ৭, ৯, ১১ এবং ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অগস্টের মধ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল ওই ব্যক্তি৷ এর পরে, নয় বছর বয়সী নির্যাতিতার পরিবার থম্পসন এবং আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিল।
- এয়ারলাইনসের হঠাৎই অযৌক্তিক কথা বলে বসল
এরই পরিপ্রেক্ষিতে, এদিন আদালতে তর্কের সময়, এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি পুরো পরিস্থিতির জন্য ভুক্তভোগীর উপর দোষ চাপিয়েছিলেন, এই বলে যে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে তারই সচেতন হওয়া উচিত ছিল। বাথরুমে যে দৃশ্যমান এবং আলোকিত একটি রেকর্ডিং ডিভাইস রয়েছে, সেটা সে আগে থেকেই দেখে নিতে পারত। আমেরিকান এয়ারলাইনস এই ধরনের কথা কীভাবে বলছে, সংস্থার কথা শুনে রীতিমত হতবাক হয়ে এমনটাই বলেছে মেয়ের পরিবার। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে আইনি অ্যাটর্নি পোস্টটিকে বলেছেন, আমি সবটা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমি মনে করি এটি আপত্তিজনক। আইনজীবী পল লেওয়েলিন আরও বলেছিলেন নে, আমেরিকান এয়ারলাইনস এবং এর আইনজীবীরা একটি নয় বছর বয়সী মেয়ের ভিডিয়োর শিকার জন্য দোষারোপ করছেন। এটা তো হতাশাজনক।