কামড়েছিল বাড়ির পোষ্য বিড়াল। তিই অতটা চিন্তা করেননি কেউ। প্রথমে বাবা ও পরে ছেলে। দুজনেই কামড় খায় পোষ্য বিড়ালের। তবে গুরুতর কিছু নয় ভেবে কেউই যাননি চিকিৎসকের কাছে। সেই ভাবনাই শেষে কাল হয়ে দাঁড়াল। কিছুদিন পরেই মৃত্যু হয় বাবা-ছেলের। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের আকবরপুর টাউনে এই ঘটনা ঘটে। যা রীতিমতো তাজ্জব করে দিয়েছে সকলকে।
(আরও পড়ুন: নিরাপদ নয় মেলও! এক ক্লিকে উধাও হতে পারে ব্যাঙ্কের টাকা! বাঁচবেন কীভাবে)
আকবরপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি স্থানীয় সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ছেলের বয়স ২৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে বিড়াল পোষেন তাঁরা। ইদানীং হঠাৎই তাঁর আচরণে বদল দেখা যাচ্ছিল। হঠাৎই একদিন বিড়ালটি দুজনকে কামড়ে-আঁচড়ে দেয়। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের। কিন্তু পরে জানা গেল ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে রেবিস ভাইরাসের সংক্রমণে। কী করে রেবিসে সংক্রমিত হলেন ওই দুজন, তাঁর খোজ চালাচ্ছিলেন জেলা আধিকারিকরা। তখনই জানা যায়, বিড়ালটিকে কিছু দিন আগে একটি কুকুরে কামড়েছিল। তার পর থেকেই তার আচরণ বদলে যায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, বিড়ালটির শরীরে রেবিস ভাইরাস প্রবেশ করে তখনই। এর পর বিড়ালটি তার মনিবদের কামড়াতে তারাও আক্রান্ত হয়ে পড়েন। বাড়ির পোষ্য বলে বিড়াল কামড়ানোর পর আর চিকিৎসকের কাছে যাননি তাঁরা।
(আরও পড়ুন: টাইপ ৩ ডায়াবিটিসই নাকি মস্তিকের এক কঠিন রোগের কারণ! কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা)
জেলা আধিকারিকদের কথায়, গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় ওই বিড়ালকে কামড়ায় কোনও রেবিস আক্রান্ত কুকুর। কানপুর দেহাত জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অলোক সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইমতিয়াজউদ্দিন নামের ওই মৃত ব্যক্তি এলাকার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া গোটা গ্রামে।
অন্যদিকে তাঁর ছেলে আজিম আখতার। কাজের সূত্রে নয়ডায় থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগেই তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। বিড়াল কামড়ের পর তাঁরা অ্যান্টিরেবিস ইনজেকশন নেননি। বরং একটা টিটেনাস নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। তার কিছু দিন পরই বিড়ালটার মৃত্যু হয়। কিন্তু তাতেও বাড়ির কোনও সদস্য ভ্রুক্ষেপ করেননি। তার ফলেই এখন নেমে এসেছে শোকের ছায়া।