নিজের ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে মামলা করলেন হরিদ্বারের এক দম্পতি। মামলাকারী দম্পতি নিজের ছেলে ও বৌমার কাছ থেকে সন্তান চান। তাঁদের দাবি, যদি তাঁরা কোনও নাতি-নাতনির মুখ দেখতে না পান, তবে তাঁদের পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মামলাকারী সঞ্জীবরঞ্জন প্রসাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘২০১৬ সালে ছেলের বিয়ে দিয়েছি। আমরা নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চাইছি।’ আর তাঁদের সেই আশা পূরণ না করতে পারলে ছেলে-বৌমার থেকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাই তাদের।
এদিকে সঞ্জীবরঞ্জন প্রসাদের অভিযোগ, ছেলেকে আমেরিকা পড়াশোনা করিয়ে বড় করেছেন। তবে এখন তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি নিজের যাবতীয় সঞ্চয় খরচ করে। বাড়ি করেছি ঋণ নিয়ে। এখন হাতে টাকা নেই। আর তাই ছেলে ও বৌমার কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা করে চেয়েছি।’ এদিকে মামলাকারীর আইনজীবী অরবিন্দ কুমার শ্রীবাস্তবর বক্তব্য, এই মামলায় বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়বদ্ধতার প্রশ্নেই এই মামলা। তাঁর মক্কেলের দাবি, হয় এক বছরের মধ্যে ছেলে-বউমাকে সন্তানের জন্ম দিতে হবে, অথবা ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ভেল-এর পদস্থ আধিকারিক হিসেবে কার করে এখন অবসর গ্রহণ করেছেন সঞ্জীবরঞ্জন প্রসাদ। ছেলে শ্রেয় সাগর বর্তমানে একটি বিমানসংস্থায় কাজ করেন। শ্রেয় নয়ডার বাসিন্দা শুভাঙ্গী সিংহকে বিয়ে করেছেন ২০১৬ সালে। বিয়ের পর প্রায় বছর ছয়েক পার হয়ে গেলেও সন্তানের জন্ম দিতে চাইছেন না শ্রেয় ও শুভাঙ্গী। এর জেরে সঞ্জীবরঞ্জন এবং তাঁর স্ত্রী চরম একাকিত্বে ভুগছেন। ছেলের জন্য যাবতীয় সঞ্চয় খরচ করার পর এখন এই বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। আর এই পরিস্থিতির জেরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁরা।