এতদিন কথায় হোঁচট খাচ্ছিলেন জো বাইডেন। আর এবার তিনি হয়ত চোখেও 'ধোকা' খেলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইডেনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, নিজের স্ত্রী ভেবে তিনি অন্য একজন মহিলাকে চুম্বন করতে গিয়েছিলেন। পরে জিল বাইডেন এসে তাঁকে আটকান। উল্লেখ্য, জিল এবং সেই মহিলা, উভয়ই নীল রঙের জ্যাকেট পরেছিলেন। এদিকে এমনিতেই ডেমোক্র্যাটদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, জো বাইডেন ভোটে দাঁড়ালে কি তিনি জিততে পারবেন? এই আবহে বারাক ওবামাও সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, বাইডেনের ফের নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা উচিত। (আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে বাংলাদেশ, কোটা-বিরোধী আন্দোলনে মৃত অন্তত ৩৯, রাতে বন্ধ ইন্টারনেট)
আরও পড়ুন: 'আমার আর কেউ নাই', ছেলের রক্তাক্ত দেহে মাথা রেখে কান্না মায়ের, কাঁদছে বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: আমেরিকাগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিপত্তি মাঝ আকাশে,২২৫ যাত্রী নিয়ে অবতরণ রাশিয়ায়
এর আগে একের পর এক অনুষ্ঠানে মুখ ফসকেছে বাইডেনের। তবুও তিনি নির্বাচনে লড়াই করার বিষয়ে অনড়। তবে কখনও তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মলা হ্যারিসকে 'ট্রাম্প' বলে সম্বোধন করছেন। আর সম্প্রতি তো ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে 'পুতিন' বলে ডেকে বসেন তিনি। এই আবহে ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা বাইডেনকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে সাঁড়াশি চাপ সৃষ্টি করলেন। বাইডেন ঘেঁষা পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি 'ফিউচার ফরোয়ার্ড'কে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের একটা বড় অংশ জানিয়েছে, বাইডেন যদি নির্বাচনী লড়াই থেকে না সরেন, তাহলে ৯০ মিলিয়ন ডলার অনুদান আটকে দেবেন তাঁরা। (আরও পড়ুন: হিংসা কবলিত বাংলাদেশ থেকে কোনওক্রমে মেঘায়লে এলেন ২০২ ভারতীয়, ১০১ নেপালি)
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক 'ভুল' করেছেন জো বাইডেন। সাক্ষাৎকার থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডিবেটে জড়িয়েছে তাঁর কথা। এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে হোয়াই হাউজে এসেছিলেন পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ। এই আবহে বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও জল্পনা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৭ জানুয়ারি পার্কিনসন বিশেষজ্ঞ ডঃ কেভিন কানার্ড হোয়াইট হাউজে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডঃ কেভিন ও'কনরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দুই চিকিৎসকের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। তবে এই রিপোর্ট সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, বাইডেনের কি তাহলে পার্কিনসন হয়েছে? প্রসঙ্গত, বয়সের চাপে ঝুঁকে পড়া বাইডেনকে নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে। ট্রাম্পও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বারংবার। এই আবহে তাঁর দলেরই অন্দরে বাইডেনকে সরে যাওয়ার জন্যে রব উঠেছে।