ভোররাত আড়াইটে নাগাদ চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে তুলকালাম কাণ্ড। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার ভোররাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে পৌঁছতে হয় সেখানে।
অভিযোগ, হস্টেলেরই এক ছাত্রী এই সব ভিডিয়ো করে। তারপর শিমলার এক ছেলেকে সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই ছেলেই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীদের এই স্নানের ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মেয়েটির বিরুদ্ধে আইপিসি এবং আইটি আইনের ৩৫৪সি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রী এমবিএ-র প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছে।
এদিকে যে সব ছাত্রীদের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাঁদের অনেকেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়েছিল এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, কোনও আত্মহত্য়ার চেষ্টা রিপোর্ট করা হয়নি বা কারও মৃত্যু ঘটেনি। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর মোহালির পুলিশ সুপার বিবেক সোনি দাবি করেন, তারা এখনও কোনও ছাত্রীর স্নানের ভিডিয়ো পাননি।
ভোররাতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ভিডিয়োও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিযোগ ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টিকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই আবহে পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এক ছাত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে তিনি এই স্নানের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। এর জন্য তিনি ক্ষমা চান।
পঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী হরজোত সিং বেন্স আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। এই বিষয়টা আমাদের বোন এবং কন্যাদের মর্যাদার সাথে যুক্ত। মিডিয়া-সহ আমাদের সকলকে এই বিষয়ে খুব সতর্ক হওয়া উচিত। এখন একটি সমাজ হিসাবে আমাদের কাছে পরীক্ষা এটা।’