হাজার বছরের পুরনো ক্যাথিড্রালের সামনে অর্ধনগ্ন ফটোশ্যুট। ইতালির আমালফির ঘটনায় তুঙ্গে বিতর্ক। গির্জার সিঁড়িতে অর্ধনগ্ন ফটোশ্যুট করছিলেন এক ব্রিটিশ মহিলা। আর সেই সময়েই স্থানীয়, পর্যটকদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা সেটির ছবি, ভিডিয়োও তুলে রাখেন। আইকনিক সান্ট আন্দ্রেয়া গির্জার বাইরের সিঁড়ি দিয়ে ওই মহিলা ও তাঁর সঙ্গীদের ওঠানামা করতে দেখা যায়। পুরো বিষয়টি যেন বিশ্বাসও করতে পারছিলেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্পর্শকাতর ধর্মীয় ভাবাবেগের বিষয়ে কেউ এতটাও উদাসীন হতে পারেন? প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই, সোমবার সকালের ঘটনা এটি। সেদিন ক্যাথিড্রালের সবুজ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা শুরু হয়। লাল কাপড়ে শরীরের কিছুটা অংশ ঢেকে চলে ফটোশ্যুট। বিষয়টি দেখে হকচকিয়ে যান সকলেই।
মিডিয়া রিপোর্টে বলছে, এই ব্রিটিশ মহিলা নাকি একটি 'ব্যক্তিগত স্মৃতি' তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। আর সেই কারণেই এমন আইকনিক স্থানে ছবি তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়োতে, ওই মহিলাটিকে একটি দরজার সামনে যিশুর প্রতিকৃতি সহ পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। দুই ব্যক্তি তাঁর ছবি তুলছেন।
ফটোগ্রাফির দিক দিয়ে নগ্নতা অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে তুলে ধরা যেতেই পারে। কিন্তু এমন স্থানে ধর্মীয় ভাবাগের বিষয়ে উদাসীন হয়ে সেটি করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। উপস্থিত বাকিদের ভাবনার বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত্। এমনই মত প্রতিবাদীদের।
আমালফির বিশিষ্ট শিল্প ইতিহাসবিদ এবং লেখিকা লরা থায়ার বলেন, একটি গির্জায় যে এমনটা হতে পারে, সেটিই খুব ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। ডুওমো একটি উপাসনালয়। আমালফিতানিদের হৃদয়ের একটি অংশ এই স্থান। অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজরিত গির্জা এটি। ব্রোঞ্জের দরজাগুলি আমালফি প্রজাতন্ত্রের সাক্ষী। এই দরজাগুলি কেবলমাত্র বিয়ে বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়ে খোলে। এটিকে শুধুমাত্র ফটোগ্রাফির একটি সুন্দর ব্যাকড্রপ ভাবলে খুব ভুল হবে। এই দরজা, এই গির্জা ধর্ম, আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক।