একদিকে যখন ভারতজুড়ে পালিত হচ্ছে আলোর উৎসব দীপাবলি, ঠিক সেই সময় পশ্চিমের বিভিন্ন দেশও মেতে রয়েছে হ্যালোইন পালন করতে। উৎসবের এমনই এক প্রেক্ষাপটে সামনে এল ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা।
হ্যালোইন উপলক্ষে এই সময়টায় পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে বাড়ির সদর দরজার সামনে মূলত বাচ্চাদের জন্য ভূরি ভূরি লজেন্স, বিস্কুট, ক্যান্ডি প্রভৃতি রেখে দেন বাসিন্দারা। বাচ্চারা সেসব একটা-দুটো করে নিয়ে যায়।
কিন্তু, কানাডার অন্টারিয়ো শহরের মারখামের কর্নেল এলাকায় এক মহিলাকে দেখা গেল, তিনি গভীর রাতে রাস্তায় বেরিয়েছেন হাতে একটি খালি বস্তা নিয়ে। তারপর বাসিন্দাদের বাড়ির দরজায়-দরজায় ঘুরে বাচ্চাদের জন্য রাখা উপহার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন!
লজেন্স, বিস্কুট, ক্যান্ডি তো বটেই, যে আলো বা বাল্ব দিয়ে এক বাসিন্দা বাড়ি সাজিয়েছিলেন, সেটা পর্যন্ত খুলে বস্তায় ভরে নিতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলাকে! এমনকী, তাঁকে একটি বাচ্চাদের সাইকেলও টেনে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে!
সবথেকে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল - মহিলার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি এশীয় বংশোদ্ভূত। বস্তুত, তাঁর চেহারার সঙ্গে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশের মানুষের চেহারার স্পষ্ট মিল রয়েছে। এবং তাঁর পরনে রয়েছে শালোয়ার কামিজ!
তাঁর সমস্ত কুকীর্তি ধরা পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সদর দরজায় লাগানো ক্যামেরায়। আর সেই ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। স্বভাবতই এ নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
কানাডার এক মিডিয়া কর্মী হ্যারিসন ফকনার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন। তাতে মহিলার কুকীর্তির ফুটেজও রয়েছে। ইতিমধ্যেই ফকনারের সেই টুইট লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছিলেন। পোস্টটিতে কমেন্ট এবং রিঅ্যাকশনের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
অধিকাংশ এক্স ইউজারই এমন হীন কাজ করার জন্য ওই মহিলার সমালোচনা করেছেন। অনেক আবার এই ঘটনা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন।
একজন এক্স ইউজার কমেন্ট করেছেন, 'আমার মনে হয়, এই মহিলা ট্রিক-অর-ট্রিটকে একটু বেশিই আক্ষরিক অর্থে যাচাই করে ফেলেছেন!'
আরও একজনের মন্তব্য হল, 'এইসব করার জন্য হ্যালোইন নয়! বাচ্চারা সঙ্গে নেই কেন? ক্যান্ডি তো তাদেরই নেওয়ার কথা!'
তৃতীয় আরও এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'সেই বাচ্চাগুলোর মুখের কী অবস্থা হবে ভাবুন তো - যখন তারা দেখবে তাদের জন্য রাখা সমস্ত ক্যান্ডি হাওয়া হয়ে গিয়েছে?'
কিন্তু, এসব মন্তব্যের পাশাপাশি সবথেকে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, বহু এক্স ইউজারই ওই মহিলাকে সরাসরি 'ভারতীয়' বলে সম্বোধন করেছেন। এবং এই একটি ঘটনার জেরে কানাডায় বসবাসকারী সমস্ত ভারতীয়কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত এই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি।