পোষ্যরাও পরিবারের একজন। বাড়িতে কুকুর বা বিড়াল পোষেন যাঁরা, তাঁরাও একথা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন। জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে স্থান করে নেয় আমাদের চারপেয়ে বন্ধুরা। আর সেই পোষ্যের জন্য যে কেউ নিজের প্রাণ পর্যন্ত বাজি রাখতে পারেন, তারই প্রমাণ মিলল একটি ভিডিয়োতে।
টুইটারে ভাইরাল একটি ভিডিয়োটি কোনও বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সম্ভবত উত্তর আমেরিকার কোনও দেশের। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাগানের পাঁচিলের উপর দিয়ে হেঁটে আসছে একটি বড় ব্রাউন বিয়ার বা বাদামি ভাল্লুক। সঙ্গে রয়েছে দুইটি ছোট্ট ভাল্লুক ছানাও। মায়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঁচিলের উপর দিয়ে হাঁটছে তারা।
এমন সময়ে হঠাত্ই শোনা গেল কয়েকটি কুকুরের ডাক। হঠাত্ই ভাল্লুকের দিকে তেড়ে এল চারটি কুকুর। তাদের মধ্যে একটি বড়। বাকি তিনটি ছোট আকারের। দুইটি সম্ভবত চিহুয়াহুয়া প্রজাতির। সবকটি মিলেই তেড়ে গেল ভাল্লুক ও তার দুই ছানার দিকে।
সঙ্গে সঙ্গে ভয় পেয়ে দৌড় দিল দুই ভাল্লুক ছানা। আর ভয় পেয়ে কালো কুকুরটির দিকে আত্মরক্ষার্থে থাবাও মারল মা ভাল্লুকটি। একটি থাবা লাগতেই পালিয়ে আসে কালো, বড় কুকুরটি। কিন্তু, সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসে একটি ছোট কুকুর। অন্যদিকে নিজের ছানাদের বাঁচাতে তখন মা ভাল্লুক উল্টো দিকে ঘুরে ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু ছোট কুকুরগুলি আবার তেড়ে আসায় থাবা বাড়িয়ে নিজেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে।
এমন সময়ে ছুটে আসেন এক মহিলা। তিনিই সম্ভবত কুকুরগুলির মালিক। এক ধাক্কায় ঠেলে ফেলে দেন ভাল্লুকটিকে। তারপর একটি কুকুরকে কোলে তুলে কোনও মতে ছুটে পালিয়ে আসেন। ফ্রেমের বাইরে থেকে তাঁকে চেঁচিয়ে ডাকতে শোনা যায় কাউকে।
অনেকেই মহিলার সাহসের তারিফ করেছেন। তবে, সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন যে, এতে ভাল্লুকের কোনও দোষ ছিল না। কুকুরদের থেকে সন্তানদের বাঁচাতে আত্মরক্ষার্থেই মা ভাল্লুকটি থাবা চালিয়েছিল। চাইলে আরও বড় ক্ষতি করার ক্ষমতা তার ছিল।
ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ, হাতি সহ বেশিরভাগ বন্য প্রাণী সন্তান থাকা অবস্থায় আরও বেশি সতর্ক থাকে। সেই সময়ে আরও বেশি আত্মরক্ষার্থে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।