কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময়সূচী ঠিক করতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ২৮ অগস্ট। সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এই সভার সভাপতিত্ব করবেন। আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এক টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি পদে কে বসতে চলেছেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী এখনও এই পদে বসতে নারাজ। শুধু তাই নয়, তিনি চান না যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বা সোনিয়া গান্ধী এই পদে বসুক। তিনি অ-গান্ধী কাউকেই এই পদে দেখতে চাইছেন। এই আবহে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতির সম্ভাব্য নাম নিয়ে জোর জল্পনা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর থেকে দলের অন্তরবর্তীকালীন সভাপতি পদে রয়েছেন সোনিয়া।
আরও পড়ুন: চাকরি পেতে ঘুষে দিতে হত জমি! সাংসদ সহ শাসকদলের দুই শীর্ষ নেতার বাড়িতে CBI
এদিকে কোনও অ-গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হলে অনেক কর্মী বাড়িতে বসে যাবেন বলে দাবি করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি জানান, কংগ্রেসের কর্মী-নেতারা রাহুল গান্ধীকে সর্বসম্মত ভাবে সভাপতি পদে মেনে নিতে প্রস্তুত। অশোক গেহলটের কথায়, ‘যদি রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি না হন, তবে তা সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অত্যন্ত হতাশাজনক হবে। অনেকেই বাড়িতে বসে যাবেন। দেশের কংগ্রেসী মনোভাবাপন্ন মানুষদের কথা ভেবে রাহুলের নিজেরই এই পদে আসীন হওয়া উচিত।’ অশোক গেহলট আরও বলেন, ‘বিগত ৩২ বছরে এই পরিবার থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী হননি। তাসত্ত্বেও কেন মোদীজি এই পরিবারকে এত ভয় পান?’