হিন্দু যুবক যুবতীরা দেরি করে বিয়ে করার ফলে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমছে। এমনটাই দাবি করে দেশব্যাপী হিন্দু যুবক যুবতীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে সেরে ফেলার আহ্বান জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই মর্মে পরিষদ একটি প্রস্তাব পাশ করেছে। শুক্রবার মহাকুম্ভ নগরের ১৮ নম্বর সেক্টরে পরিষদের কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের তরফে তিন দিনের শিশিরের আয়োজন করা হয়েছে। সভার প্রথম দিনে দ্বিতীয় অধিবেশনে এই বিষয়ে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ সুরেন্দ্র জৈন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, কানপুরে টেস্টের সময় টাইগারদের পতাকা পোড়াল VHP
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসাল বলেন, ‘বৈদিক নীতি অনুসারে গৃহস্থ আশ্রমে (সাংসারিক জীবনে) প্রবেশের জন্য ২৫ বছরই সঠিক বয়স। তাই যুবক-যুবতীদের এই বয়সের মধ্যে বিয়ে করার জন্য আবেদন করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা করতে হিন্দু পুরুষ ও মহিলাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি মনে করেন, জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা হিন্দু সমাজের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক। কারণ হিন্দু সংখ্যা হ্রাস সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পরিস্থিতি বিভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে। হিন্দুরা এই দেশের পরিচয়। যদি হিন্দুদের সংখ্যা হ্রাস পায়, তাহলে অবশ্যই দেশের পরিচয় এবং অস্তিত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেবে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিন্দু যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
ডঃ জৈন আরও দাবি করেন, যে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য প্রতিটি পরিবারে দুই বা তিনটি শিশু থাকা প্রয়োজন। অধিবেশনে হিন্দু পরিবারের ভাঙন, লিভ-ইন সম্পর্ক, হিন্দু যুবকদের মধ্যে মাদকাসক্তি বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হিন্দু মূল্যবোধের অভাবের কারণে পরিবার ব্যবস্থাও হুমকির মুখে। এছাড়াও হিন্দু যুবকরা কীভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে তানিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এদিনের বৈঠকে। এর ফলে হিন্দু সমাজে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং লিভ-ইন সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
দেশে যুবকদের মধ্যে মাদকাসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিন্দু পরিষদ। এই অবস্থায় দেশকে মাদকমুক্ত করতে বজরং দল, দুর্গা বাহিনী এবং অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। পরিষদের মার্কিন ইউনিটের সভাপতি তেজল শাহ বলেন, আমেরিকায় হিন্দু ধর্ম দ্রুত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং দিন দিন আরও বেশি সংখ্যক অ-হিন্দু মার্কিন নাগরিক এই ধর্ম গ্রহণ করছে। এছাড়াও, বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০০ ট্রাস্টি সদস্য এবং ভিএইচপি ইউনিটের প্রধানরা এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।