জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত অবমাননার অভিযোগ উঠল ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিছু মানুষের বিরুদ্ধে। তাঁরা জাতীয় পতাকার মধ্যস্থলে অবস্থিত অশোক চক্রের বদলে সেখানে আরবি ভাষায় 'কলমা' লিখে দেন। সেই বিকৃত জাতীয় পতাকা প্রকাশ্যে উত্তোলনও করা হয়। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার ঘুবারা তহসিলের অন্তর্গত পনয়া। সেই গ্রামেরই কিছু বাসিন্দা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় পতাকার অবমাননার বিষয়টি প্রথম তাদের নজরে আনেন অমন সাহু নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একজন কার্যকর্তা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে।
এই ঘটনায় ১৯৭১ সালের ২ নম্বর ধারা অনুসারে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে অমন সাহু লিখেছেন, তিরঙ্গায় অশোক চক্রের বদলে আরবি ভাষায় কলমা লেখা হয়েছে। যা জাতীয় পতাকার অবমাননা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হুঁশিয়ারি
এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে।
একইসঙ্গে, পুলিশের উদ্দেশেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের বক্তব্য, দ্রুততার সঙ্গে পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিতকরণ ও তাদের কঠোর শাস্তি যদি না দেওয়া হয়, তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র আন্দোলন শুরু করা হবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনায় জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। যা কোনও অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না। তাদের দাবি, সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় পতপত করে উড়ছে 'জাতীয় পতাকা'। কিন্তু, তার সাদা অংশে কোনও অশোক চক্র নেই। বদলে লেখা রয়েছে কলমা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনের সদস্যরা বিষয়টি জানার পরই পদক্ষেপ করেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশের কাছে এই প্রসঙ্গে এফআইআর করা হয়।
পুলিশের বক্তব্য
ছতরপুর জেলার পুলিশ সুপার অগম জৈন জানিয়েছেন, তাঁরা এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ও তৎপরতার সঙ্গে বিবেচনা করছেন। ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ছতরপুর জেলার ঘুবারা তহসিলের বমতোরা থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেবলমাত্র অজ্ঞতাবশত কেউ এমনটা করেছে, নাকি এর পিছনে কোনও গোপন অভিসন্ধি রয়েছে পুলিশ সেটাও খতিয়ে দেখছে।