কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সর্বক্ষণ তাঁর মনে একটাই আতঙ্ক, ‘এই বুঝি কেই বিষ দিয়ে দিল।’ এই আতঙ্ক থেকেই নাকি বিগত কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় হাজার জন কর্মীকে বদলি করেছেন পুতিন। এমনটাই দাবি করা হল ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাবুর্চি, লন্ড্রির লোক, দেহরক্ষীও রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মূলত এই ধরনের আচরণ শুরু করেছেন পুতিন। তবে এই বরখাস্ত করার ঘটনা ইউক্রেনে হামলার আগে না পরে, তা স্পষ্ট নয়।
ডেইলি মেইলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা দাবি করেন, পুতিনকে বিষ খাওয়ানোর ভয় একেবারেই ভিত্তিহীন নয়। কারণ মস্কোর অভিজাত অফিসাররা পুতিনকে 'বিষ' দেওযার ষড়যন্ত্র করছে এবং এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করার পরিকল্পনা করছে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার 'প্রভাবশালী' ব্যক্তিদের একটি গ্রুপ প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণের পরিকল্পনা শুরু করেছে - এমনকি একজন উত্তরাধিকারীকেও বেছে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এই পরিকল্পনার নেপথ্যে প্রধান কারণ।’
ইউক্রেনের মতে, ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস ডিরেক্টর ৭০ বছর বয়সী আলেকজান্ডার বোর্টনিকভ পুতিনকে Ms< করার পরিকল্পনার মূলে। যদিও পুতিনের প্রধান সাহায্যকারী সংস্থা হল এফএসবি। বোর্টনিকভ এবং পুতিন কেজিবিতে একসাথে কাজ করেছিলেন। তবে মনে করা হচ্ছে বোর্টনিকভের সঙ্গে সম্প্রতি পুতিনের দূরত্ব বেড়েছে।