বছরের প্রথমের দিকে শুরু হওয়া ইউক্রেনের ওপর রুশ আগ্রাসন এখমও থামেনি। গোটা বিশ্ব এই যুদ্ধের অবসানের অপেক্ষায়। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই জানিয়েছেন যে, এই যুদ্ধের জন্য তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনার রাস্তা খোলা রাখার প্রসঙ্গ তোলেন। যার জবাবে ক্রেমলিন জানিয়ে দেন, ভ্লাদিমির পুতিন কথা বলতে রাজি, তবে রয়েছে একটি শর্ত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামানোর একমাত্র রাস্তা হল ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা সরানো আর যদি পুতিন সংঘাত থামাতে চান, তাহলে বাইডেন ক্রেমলিন প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। এই পরিস্থিতিতে কার্যত রাশিয়াকে পাল্টা চাপে ফেলতে চেয়েছিল মার্কিনি কূটনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষাপটে ভ্লাদিমির পুতিনের তরফে দমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, পুতিন আলোচনার জন্য দরজা খোলা রেখেছেন, তবে ইউক্রেন থেকে সরানো হবে না সেনা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকোভ বলছেন, ‘রাশিয়ার ফ্রেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সব সময় দরজা খোলা রেখেছেন সমঝোতার যাতে আমাদের স্বার্থ সুনিশ্চিত হয়।’ উল্লেখ্য, ইউক্রেনে হামলা কেন্দ্র করে পশ্চিমের দাপটকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারা গিয়েছে বলে মনে করছে রাশিয়া। যার ফলে পুতিন সাফ ভাষায় জানিয়ে দেন যে তিনি এই ইউক্রেন হামলা নিয়ে মোটেও অনুশোচনায় নেই।
হাইপ্রোফাইল মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আটক আমেরিকায়! কে এই গোল্ডি?
এদিকে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা লড়াই জারি রাখবে যতক্ষণ না শেষ রুশ সেনা পিছু হঠছে। এদিকে, ইউক্রেনের অংশে রুশ দখল হয়েছে, সেই অংশগুলিকে রাশিয়ার অংশ হিসাবে মেনে নিতে পশ্চিমি দুনিয়াকে চাপ দিচ্ছে মস্কো। সেই জায়গা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা সমেত বিভিন্ন দেশ। দমিত্রি পেসকোভ বলছেন, যতক্ষণ না সেই ভূখণ্ডকে রাশিয়ার অংশ হিসাবে মেনে নেওয়া হচ্ছে (পশ্চিমি দেশগুলি মেনে নিচ্ছে) ততক্ষণ সম্ভাব্য আলোচনার রাস্তায় বাধা পাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে, পেসকভকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনা হতে পারে কি? যার উত্তরে পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তো বলেই দিয়েছেন ইউক্রেন থেকে রাশিয়া সেনা সরালে কথা হবে। আর রাশিয়া যে সেনা সরাবে না, তাও স্পষ্ট করেছে ক্রেমলিন। ফলে এই জায়গা থেকে জল্পনার রাস্তা ফের খোলা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।