Vladimir Putin on Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্পের জয় নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন পুতিন, কী বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট?

এর আগে আমেরিকার নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে না আসতেই 'বন্ধু' ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানান মোদী। তবে এই নিয়ে ক্রেমলিন গতকাল দাবি করে, রাশিয়ার মিত্র দেশের তালিকায় আমেরিকা নেই। এই আবহে এখনই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাবেন না পুতিন। তবে সেই রিপোর্ট প্রকাশের পরদিনই মুখ খুললেন পুতিন।

ইতিহাস ছুঁয়ে ফের হোয়াইট হাউজের 'মালিক' হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতবারের নির্বাচনে লড়ে হেরেছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে এবার ফের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার একদিন পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সোচি শহরে আয়োজিত ভালদাই ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন বলেন, 'বিপুল ভোটে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই।' এর আগে নির্বাচনে জেতার পরে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্পও। (

উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলিতে বারবারই ট্রাম্প দাবি করে এসিছেলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ হত না। তিনি পুতিনকে 'বোঝেন' বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। এদিকে এই নির্বাচনের আগে রাশিয়ার হ্যাকাররা একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল করিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর থেকে মার্কিনিদের আস্থা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা। এই সবের মাঝেই ট্রাম্প বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন। এদিকে ট্রাম্পের জয় পাকাপাকি হতেই বিশ্বের তাবড় নেতারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন। সেখানে ক্রেমলিন সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছিল, রাশিয়ার মিত্র দেশের তালিকায় আমেরিকা নেই। এই আবহে এখনই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাবেন না পুতিন। তবে সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার একদিন পরই পুতিন জনসমক্ষে অভিনন্দন জানালেন ট্রাম্পকে। (

এদিকে চূড়ান্ত ফলাফল আসতে না আসতেই 'বন্ধু' ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানান মোদী। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, 'নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন। আশা করব আপনার আগের মেয়াদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার হবে। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার সেই ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য আমি অপেক্ষা করে আছি। আসুন একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।' (

উল্লেখ্য, এবারের মার্কিন নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জো বাইডেন। এই আবহে হাতে খুবই অল্প সময় নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন কমলা। তবে প্রাথমিক ভাবে জনমত সমীক্ষার ফলাফল কমলার জন্যে বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল। যদিও আসল নির্বাচনে ফল উলটে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার মানেন কমলা। প্রসঙ্গত, মার্কিন মিডিয়ায় প্রকাশিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস ২২৬ ইলেক্টোরাল কলেজ পেয়েছেন। এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ২৯৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ চলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, জয়ের জন্যে সেদেশে ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজের প্রয়োজন পড়ে।