ইউক্রেনের কিছু অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে আসার ‘সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্যের’ দিকে ছুটছেন ভ্লাদিমির পুতিন৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পর এমন মন্তব্য করেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ শুক্রবার জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেড় ঘণ্টা টোলিফোনে কথা বলেন৷ এই বিষয়ে শনিবার জার্মান চ্যান্সেলর জানান, যুদ্ধ শুরুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ইউক্রেন বিষয়ে পুতিনের লক্ষ্য অপরিবর্তিত থেকে গিয়েছে৷
তবে ইউক্রেন বিষয়ে দুইজনের বিস্তর মতপার্থক্য থাকলেও দেড় ঘণ্টার ফোনালাপ বরাবরের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল বলেও উল্লেখ করেন শলৎস৷ জার্মান গণমাধ্যম ডয়চেল্যান্ডফুঙ্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চ্যান্সেলর শলৎস বলেন, যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক পথ তৈরির উপর জোর দিয়েছেন তিনি৷ তাছাড়া যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারেও পুতিনকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন৷ গণমাধ্যমটির কাছে শলৎস দাবি করে, গত কয়েকদিনে রাশিয়ার সেনাদের কাছ থেকে ইউক্রেনের সেনাদের বেশ কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারে জার্মানির সামরিক সহায়তার অবদান রয়েছে৷
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা৷ খারকিভে বেশ কয়েক হাজার কিলোমিটার জায়গা তারা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে বলে করেছে দেশটির সেনাবাহিনী৷ এই বিষয়ে শলৎস বলেন, জার্মানির অস্ত্র পাওয়ার ফলেই ইউক্রেনের সেনাদের এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে৷ ‘আর তাই আমাদের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া যৌক্তিক৷’ উল্লেখ্য, যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহযোগিতা দিতে অনিচ্ছুক ছিল জার্মানি৷ পরে ক্রমাগত চাপের মুখে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে আক্রান্ত দেশটিকে সহযোগিতা করে জার্মান সরকার৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)