ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝেই শুরু হয়েছে দুই দেশের শান্তি আলোচনা। আর সেই আলোচনা প্রসঙ্গে শুক্রবার মুখ খোলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এই আলোচনা খানিকটা ইতিবাচক দিকে গিয়েছে। পাশাপাশি ক্রেমলিন জানিয়ে দিয়েছে যে, যুদ্ধ সংঘাত তখনই বন্ধ হবে, যখন পশ্চিমী দেশগুলি নজর দেবে রাশিয়ার উদ্বেগের কারণগুলিতে। উল্লেখ্য, বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও ক্রেমলিনের বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পশ্চিমী দেশগুলির আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা কোনমতেই রাশিয়ার উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবেনা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, আমাদের তরফের সমঝোতাকারীরা জানিয়েছেন আমায়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে পরে কথা বলব।’ এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ ও ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা ইতিমধ্যেই শান্তিপ্রক্রিয়ার আলোচনায় বৈঠকে বসেছেন। বৈঠক হয় তুরস্কে। তবে সেই বৈঠক থেকে কোনও রফাসূক্র বেরিয়েছে বলে জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের বুকে রাশিয়ার হামলা ২ মিলিয়ন মানুষকে ছাড়খার করেছে। এছাড়াও হাজারেরও বেশি মানুষের এই যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরমাণু অস্ত্রকে অ্যালার্টে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ইন্টালিজেন্সের দাবি, যেভাবে ইউক্রেনের ফোর্স রাশিয়াকে প্রতিহত করছে তা অবাক করেছে রাশিয়াকে। এদিকে, পশ্চিমীদেশগুলি সহ আমেরিকা একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার ওপর। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, সেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার ক্ষতি হবে না, বরং রাশিয়ার আরও বিকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন তিনি।