ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমা দেশগুলিকে আক্রমণ শানিয়ে ভাষণ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের সেই ভাষণে উঠে এল হ্যারি পটারের লেখিকার নাম। এরপরই পুতিনকে পালটা তোপ দাগেন জেকে রাউলিংয়ের। ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলার মাঝেই হঠাৎ আলোচনায় হ্যারি পটার। উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ভাষণ দেওয়ার পর এসব আলোচনা শুরু হয়। তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় পুতিন ব্রিটিশ লেখিকা জেকে রাউলিংয়ের উল্লেখ করেন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, রাউলিংয়ের সাথে যা ঘটেছে তা প্রমাণ করে যে পশ্চিমারা মানুষকে ‘খারিজ’ করতে পছন্দ করে। পুতিন বলেন যে রাশিয়ার সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
এদিকে এই উল্লেখের পরে রাউলিং পুতিনকে পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ‘যে নীরিহ নাগরিকদের হত্যা করছে, নিজেক সমালোচকদের জেলে বিষ দিচ্ছে, তার মুখে পাশ্চাত্য বাতিল সংস্কৃতির সমালোচনা মানায় না।’ উল্লেখ্য, যৌন সঙ্গম এবং ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে রক্ষণশীল মনোভাবের জন্য সম্প্রতি রাউলিংয়ের তীব্র নিন্দা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। তবে রাউলিং নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। সেই ঘটনাটিকেই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন পুতিন। উল্লেখ্য, রাশিয়ার ইউক্রেইন আগ্রাসনের জেরে সম্প্রতি পশ্চিমা কয়েকটি দেশে রুশ সঙ্গীত অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই পশঅচিমা দেশগুলির এই ‘সংস্কৃতির’ উদাহরণ তুলে ধরেন পুতিন।
উল্লেখ্য, জেকে রাউলিং আজকের যুগের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখিকাদের একজন। ইংরেজিতে লেখা তাঁর উপন্যাস সিরিজ হ্যারি পটার সম্ভবত একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস। তবে সেই জনপ্রিয় রাউলিং সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে নিজের বক্তব্যের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। বহু মানুষ রাউলিংকে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন।