এ়জিআর নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর নিশ্চিত ভাবেই সংকটে ভোডাফোন-আইডিয়া। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। সংস্থা সাধ্যমতো চেষ্টা করছে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর।
এখনই টাকা মেটাতে হবে, এই সুপ্রিম রায়ের পর বাজারের একটি বড় অংশের আশঙ্কা, তাহলে হয়তো দেউলিয়া হয়ে যাবে ভোডাফোন-আইডিয়া। শনিবার সংস্থা জানিয়েছে যে তারা আংশিক টাকা মিটিয়ে দেবে। প্রায় ৪৪০০০ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারকে দিতে হবে ভোডাফোনকে আগামী সুপ্রিম কোর্ট শুনানির আগে।
ডিসেম্বরের শেষে সংস্থার কাছে ১২,৫৩০ কোটি নগদমূল্য ছিল। সেটি এখন কমে ১০ হাজার কোটি মতো আছে বলে মনে করা হচ্ছে।এবার প্রশ্ন হল যে যা টাকা মেটাতে হবে তার মাত্র ২৫ শতাংশ সংস্থার কাছে আছে। তাহলে কী করে বাঁচবে ভোডাফোন-আইডিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিশ্লেষকের মতে সংস্থার আশা যে কিছুটা টাকা মিটিয়ে দিলে নমনীয় অবস্থান নেবে কেন্দ্র। কিছুটা টাকা মেটালে মরাটেরিয়াম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সংস্থার তৃতীয় কোয়ার্টারের ফলাফলও বেশ ভালো। আগের কোর্য়ার্টারের থেকে রাজস্ব বেড়েছে ২.৩ শতাংশ। ডিসেম্বরে রাজস্ব ১১,০৮৯ কোটি যা ভোডাফোন ও আইডিয়ার মার্জার হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
জিও অন্য গ্রাহকদের ফোন করার জন্য চার্জ নিতে শুরু করার পর IUC (interconnect usage charges) অনেকটা বদলেছে। সেই ফ্যাক্টরটি অ্যাডজাস্ট করলে ভোডাফোনের রাজস্ব বেড়েছে ৩ শতাংশ যা জিওর ৩.৫ শতাংশ থেকে সামান্য কম। এটি খুবই তাত্পর্যপূর্ণ কারণ জিওর নেটওয়ার্ক ও ব্যালেন্স শিট অনেকটাই বেশি শক্তিশালী।
বেশি কিছু কোয়ার্টার পরে বেড়েছে ভোডোফোন-আইডিয়ার পোস্ট-পেইড গ্রাহক ও ডেটা সাবস্ক্রাইবার। অ্যাডজাস্টেড প্রফিট বেড়েছে ১৬ শতাংশ। কিন্তু সমস্যা ভোডাফোন-আইডিয়ার ব্যালেন্স শিটে। গত বছরের ৬৯,৫৪০ কোটি থেকে মোট সম্পদ কমে হয়েছে ১৭, ৬২৩ কোটি ডিসেম্বর কোয়ার্টারের শেষে। অর্থাত্ কাদায় পড়ে গিয়েছে ভোডাফোন-আইডিয়া। বর্তমান সংকট যদি মিটেও যায়, তারপরেও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে সংস্থার সামনে। তাই ভোডাফোন-আইডিয়া থাকবে কি না, অনেকগুলি ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করবে।