ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বড় মামলা জিতল ব্রিটিশ টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন। শুক্রবার এই মামলার ফল এসেছে। হেগের পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আর্বিট্রেশনে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে আদালত রায় দিয়েছে ন্যায্য ও যথার্থ আচরণ করা হয়নি ভোডাফোনের সঙ্গে। তাদের আইনি খরচা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারকে।
ট্রাইবুন্যাল বলেছে যে সরকার যে ভোডোফোনের বিরুদ্ধে করের বোঝা চাপিয়েছিল, সেটা ভারত ও হল্যান্ডের মধ্যে লগ্নি চুক্তির বিরোধী। এই সংক্রান্ত কোনও টাকা সরকার ভোডাফানের থেকে আদায় করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। উপরন্তু, আংশিক আইনি খরচা বাবদ ভোডাফোনকে ৫৪.৭ লাখ টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
ব্রিটিশ টেলিকম সংস্থায় হয়ে হেগে প্রতিনিধিত্ব করে ডিএমডি অ্যাডভোকেটস। ২০০৭ সালে ভোডাফোন সংস্থা হাচিসনকে কিনে নেয়। সরকার বলে এই ক্রয়ের ওপর ভোডাফোনকে মোটা অঙ্কের কর দিতে হবে, কিন্তু সেই দাবি মানেনি ব্রিটিশ সংস্থা। ইউপিএ-২ সরকার মোট ১১,০০০ কোটি দিতে বলে ভোডাফোনকে টিডিএস বাবদ। সেটা ভোডাফোন দিতে চায়নি। ফলে ফাইন সহ ২০ হাজার কোটি টাকা ভোডাফোনকে দিতে নির্দেশ দেয় মনমোহন সরকার।
এই মামলা আদালতে গড়ায়। সুপ্রিম কোর্টে হার হয় কেন্দ্রের। সেই মুহূর্তে দেশের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। মরিয়া অর্থমন্ত্রক তখন ঠিক করে যে রেট্রোস্পেকটিভ ভাবে আইন সংশোধন করা হবে, যাতে টাকা দিতে বাধ্য হয় ভোডাফোন। এই রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্স নিয়ে হইচই শুরু হয় কর্পোরেট মহলে। শুধু ভোডাফোন নয় অন্য অনেক সংস্থার সঙ্গে সংঘাতের পথে যায় সরকার।
২০১৪ সালে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ভোডাফোন। অবশেষে এল রায়, জয় পেল ভোডাফোন। এরকম রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সের মামলা কেয়ার্ন এনার্জি সহ অনেকের সঙ্গে ঝুলছে ভারত। হার হলে অনেক টাকা গচ্চা যাবে দেশের।