মাঝে আর মাত্র এক দিন বাকি। ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফা নির্বাচনের পরই ভোট শেষ। দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হল জ্বালানির।nচারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রায় দু’মাস ধরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম স্থির ছিল। তবে মাসের অন্তিম লগ্নে এসে আবারও জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ইনট্রাডে বাণিজ্যে বেঞ্চমার্ক অনুয়ায়ী ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেল পিছু প্রায় ৬৬ ডলার ছিল।
ইতিমধ্যেই জ্বালানির খুচরো বিক্রেতারা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানির লিটার পিছু প্রায় ৩ ডলার হারাতে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের ঊর্ধ্বমূখী দাম ছাড়াও ডলারের তুলনায় টাকার মান পড়ে গিয়েছে। সেজন্য জ্বালানির লিটার পিছু দাম বাড়ছে।
শুধু এই কারণেই আন্তর্জাতিক তেলের দাম ও বিনিময় উভয় হারই অপরিশোধিত তেল আমদানিকে প্রভাবিত করছে। গত এক মাস আগেই অপরিশোধিত তেল কেনার গড় বিনিময় হার প্রায় ছিল ৭২.২৯ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৭৭ ডলার। পাশাপাশি অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল পিছু গড় মূল্য ৫ ডলার করে ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৩ গুণ বেড়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশেরও বেশি অপরিশোধিত তেল ভারতে আমদানি করা হয়। যা প্রক্রিয়াজাত করার পর ডলারে রূপান্তরিত করা হয়। তবে সরকারি ক্ষেত্রে তেল বিপণন সংস্থাগুলো বিপাকে পড়ছে। রাজনৈতিক কারণে তাঁরা জ্বালানির হার বাড়াতে পারছে না। তবে, ২৯ এপ্রিলের পরেই তারা বাণিজ্যিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। জ্বালানির দাম নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি বলেন, ‘কমিশন ভোটের ঘোষণা করার একদিন পর অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছুটা কমানো হয়েছিল।