অবশেষে সাপমুক্তি। ৫৫ দিন পরে অবশেষে দিল্লি বিমানবন্দরের ট্রান্সিট থেকে বেরোলেন এডগার জিবার্ট। জার্মান এই নাগরিকের আপাতত গন্তব্য হল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডাম। মঙ্গলবার ভোররাতে KLM এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি রওনা দেন।যাওয়ার আগে তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়। সেল্ফ রিপোর্টিং ফর্মে তিনি দিল্লি এয়ারপোর্টের টি-৩ টার্মিনালকে ভারতে তার বাসস্থান হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
দিল্লি এয়ারপোর্টের এক আধিকারিক জানান যে সোমবার এডগার জানিয়েছিলেন কোনও বিমান পেলেই সে যেতে রাজি। এরপর আমস্টারডামে যাওয়ার তাঁর কাছে ভিসা থাকায়, তাঁকে যেতে দেওয়া হয়। টিকিটের ৪৩ হাজার টাকা তিনি নিজেই দেন।
এর আগে কর্তৃপক্ষ তাকে Leave India Notice জারি করলে তিনি বলেছিলেন যে প্লেন পেলেই তিনি চবে যাবেন।
১৮ মার্চ হানোই থেকে ইস্তানবুল যাচ্ছিলেন এডগার জিবার্ট। কিন্তু সেদিনই তুরস্ক অবধি সব ফ্লাইট বাতিল করে ভারত করোনার জেরে। চারদিন বাদে সম্পূর্ণ বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হয় ও ২৫ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয় যেটা এখনও চলছে।
একই সময় এডগারের মতো অন্য কিছু যাত্রীও আটকে পড়েছিলেন। কিন্তু এডগারের আবার ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে, যেই কারণে তাঁর সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। জার্মানিতে গেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে, সেই ভয় দেশে ফিরতে চায়নি সে দূতাবাসের প্রস্তাব সত্ত্বেও।
মার্চের ১৮ তারিখ ভিয়েতনাম থেকে দিল্লিতে নামে এডগার। কিন্তু তারপরে তিনি দেখতে পান তুরস্কে যাওয়ার সব পথ বন্ধ। এডগার প্রায় সাতদিন ট্রান্সিটে থাকার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভারতের ভিসার জন্য সরকারিভাবে আবেদন না করলেও তাঁর অপরাধী কার্যকলাপের জন্য ভিসা মেলার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। তাই ওই ট্রান্সিট জোনেই থাকতে হচ্ছিল জার্মান নাগরিককে।
গত সপ্তাহে তুরস্কের আনকারায় যাবে, তেমন একটি ফ্লাইটে এডগারকে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই দেশ রাজি হয়নি কারণ বিমানটি ছিল শুধু নাগরিক ও যাদের পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি আছে তাদের জন্য।