একটি ট্রেন। দৈর্ঘ্য ৩.৫ কিলোমিটার। 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' উদযাপনের অংশ হিসাবে ১৫ অগস্ট 'সুপার বাসুকি ট্রেন' চালাল ভারতীয় রেল। মোট পাঁচটি ট্রেন নিয়ে এটি গঠিত। বহন করল প্রায় ২৭ হাজার টন কয়লা।
সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেনটির মোট ওয়াগনের সংখ্যা ২৯৫টি।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৫ অগস্ট সুপার ভাসুকি ট্রেনটি চালানো হয়। ছত্তিশগড়ের কোরবা থেকে নাগপুরের রাজনান্দগাও পর্যন্ত কয়লা নিয়ে যায় ট্রেনটি। ট্রেনটি কোরবা থেকে ১টা ৫০-এ ছাড়ে। ২৬৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। মোট ১১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লেগেছিল। পাঁচটি মালবাহী ট্রেনকে একত্রিত করে একটি রেকে ট্রেনটি তৈরি করা হয়।
হিন্দু মতে, শিবের সাপের নাম বাসুকি। সাপটির মাথায় একটি রত্ন আছে। সেটাকে বলা হয় নাগমণি। মহাদেব বাসুকিকে তাঁর গলায় ধারণ করেন। সেই অনুযায়ী এই মালবাহী ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে।
রেলের দাবি, এটি তাদের চালিত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং ভারী মালবাহী ট্রেন। এক-একটি স্টেশন অতিক্রম করতেই প্রায় চার মিনিট সময় লাগে।
আধিকারিকদের মতে, সুপার বাসুকিতে যে পরিমাণ কয়লা বহন হয়, তা সারাদিন ধরে একটি ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য যথেষ্ট। সাধারণ ৯০ কার, ১০০ টন রেল রেকের তুলনায় এক ট্রিপে তিনগুণ বেশি কয়লা পরিবহন করতে পারে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জ্বালানির ঘাটতি এড়াতে, রেল আরও বেশি করে লম্বা মালবাহী ট্রেন চালাতে চায়।