দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বোয়িং বিমান। বিমানটি 'ক্র্যাশ ল্যান্ডিং' করে। এর জেরে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বিমানে। বিমানটি প্রায় পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় মাত্র ২ জনকেই জীবিত বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে বিমানের বাকি ১৭৯ জন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এদিকে এই দুর্ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে রানওয়ের উপর থেকে দ্রুত গতিতে ঘষে ঘষে এগিয়ে যাচ্ছে বিমানটি। এরপর বেড়ায় গিয়ে ধাক্কা খায় বিমানটি। ধাক্কা খাওয়ার পরই তাতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। (আরও পড়ুন: আজও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি, তারপর নববর্ষে কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?)
আরও পড়ুন: 'Now or Never', বাংলাদেশে নয়া মোড়? কী হতে চলেছে ৩১ ডিসেম্বর?
আরও পড়ুন: শেষকৃত্যে মনমোহনের পরিবারকে কীভাবে 'অপমান' BJP-র? 'তথ্য' তুলে ধরে তোপ কংগ্রেসের
ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্রথমে বিমানটি বেড়ায় ধাক্কা খাওয়ার পরই বিস্ফোরণে বিমানের সামনের দিকটিতে আগুন ধরে যায়। তখনও বিমানের পিছনের দিকের অংশ অক্ষত ছিল। পরে বিমানের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রানওয়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো ছিল না। যেটাকে 'বেলি ল্যান্ডিং' বলা হয়ে থাকে। এদিকে এই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরই সেদিকে দমকল এবং বিমানবন্দরের একাধিক গাড়ি ছুটে যায়। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। (আরও পড়ুন: ১৮১ যাত্রীর মধ্যে মৃত ১৭৯, কীভাবে হল দক্ষিণ কোরিয়ার এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা?)
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারের 'সময়সীমা' যেন বেঁধেই দিলেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা…
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। জরুরি বিভাগ জানায়, উদ্ধারকারী দল একজন পুরুষ এবং এক নারী ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করে। স্থানীয় টিভি স্টেশনগুলোর প্রচারিত ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিমানটি থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হচ্ছে। এদিকে এই দুর্ঘটনার জন্যে 'মাথা নত' করে ক্ষমা চায় জেজু এয়ার। এদিকে দুর্ঘটনা নিয়ে বোয়িং বিবৃতি জারি করে বলেছে, 'আমরা জেজু এয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।' মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে বোয়িং। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চই সাং-মক সরকারি ভাবে মৃতদের পরিারকে সাহায্য করার বার্তা দেন।