শনিবার নয়াদিল্লিতে অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসব ফ্যাশন শো-তে ব়্যাম্পে আচমকা হাজির হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও সুকান্ত মজুমদার। ঐতিহ্যবাহী উত্তর-পূর্বের স্টাইলের জ্যাকেট পরে দুই মন্ত্রী এই অঞ্চলের প্রাণবন্ত ফ্যাশনের প্রচারের জন্য ব়্যাম্পে হাঁটেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য তিন দিনের এই অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের টেক্সটাইল শিল্প, কারিগর কারুশিল্প এবং অনন্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য প্রদর্শন করা। অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবের অংশ ছিল এই ফ্যাশন শো। (আরও পড়ুন: ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চায় USA, অভিযোগ করে BJP, জবাবে মার্কিন দূতাবাস বলল...)
আরও পড়ুন: অসমে তৃণমূল কি নয়া সভাপতি নিয়োগ করল? পোস্ট করেও মোছা হল... ছড়াল বিভ্রান্তি!
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ও উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, এই অনুষ্ঠানটি সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার উদযাপন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লেখেন, 'উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাণবন্ত শৈলী প্রদর্শনের ফ্যাশন শো-তে দুর্দান্ত সময় কাটল! প্রতিটি রাজ্যের প্রতিভাবান শিল্পী এবং মডেলরা সুন্দরভাবে তাঁদের অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।' সঙ্গে তিনি নিজের এবং সুকান্ত মজুমদারের ব়্যাম্প ওয়াকের ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেন। (আরও পড়ুন: মমতা কি INDIA ব্লককে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য? 'অধিকার' নিয় বড় কথা বললেন শরদ পাওয়ার)
আরও পড়ুন: 'পায়খানা পরিষ্কার করায় কৃতিত্ব...', ৪ দিনে কলকাতা দখলের 'হুংকারের' জবাব তথাগতর
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আটটি রাজ্য অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিমকে প্রায়শই 'অষ্টলক্ষ্মী' বা সমৃদ্ধির আটটি রূপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এই রাজ্যগুলি ভারতের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই আবহে অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসব উদ্বোধনের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন এবং এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরে পণ্য প্রদর্শনকারী ও কারিগরদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবে প্রতিটি রাজ্যের নির্দিষ্ট প্যাভিলিয়ন আছে। বিনিয়োগকারীদের সেই সব রাজ্যে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ইভেন্টেরও আয়োজন করা হয়েছে। হস্তশিল্প, হস্তচালিত তাঁত, কৃষি পণ্য এবং পর্যটনের মতো ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার প্রচার করাই এই উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিল।