লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষের একবছরের বেশি হয়ে গেলেও এখনও প্রকৃত নিয়নত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্তা হয়নি। মাঝে মধ্যেই চিনা সেনার গতিবিধি লক্ষ্য করা যায় সীমান্তের ওপারে। এই আবহে এখনও পর্যন্ত ১২টি বৈঠকে বসেছে ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনা। তবে কোনও চূড়ান্ত সমাধান সূত্র বের হয়ে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে চিনের উপর ভরসা দেখাতে চায় না ভারত। বরং সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানের প্রস্তুতি আগেভাগেই সেরে রাখতে চায় নয়াদিল্লি।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর ১২টি বৈঠকে মুখে চিন শান্তির বার্তাই দিয়েছে। মন্ত্রী বা কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকেও একই বার্তা দিয়েছে চিন। তবে এরই মাঝে সীমান্ত অনুপ্রবেশ চালিয়ে গিয়েছে চিন। এই আবহে সামরিক কৌশলগত ভাবে এগিয়ে থাকতে ভারতের তরফে গতবছর অপারেশন স্নো লেপার্ড চালানো হয়েছিল। সীমান্তে মোতায়েন হয়েছিল টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক এবং টি-৭২ অজয় ট্যাঙ্ক। মাঝে শীতকালে সেখানে তাপমাত্রা -৪৫ ডিগ্রিতে গিয়ে ঠেকলেও ট্যাঙ্কগুলি টিকে গিয়েছে বহাল তবিয়তে।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ট্যাঙ্কের যন্ত্রপাতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই লক্ষ্যে ট্যাঙ্কগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেখানে। এসবের মাঝেই চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে মহড়াও সেরেছে এই ভীষ্ম ট্যাঙ্ক। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা অত্যাধুনিক চপার আপাচের মহড়াও চালানো হয় সেনার তরফে। এছাড়া লাদাখে চিন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের হাতে অত্যাধুনিক আমেরিকান সিগ সওয়ার ৭১৬ রাইফেল এবং সুইস এমপি-৯ পিস্তল তুলে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নেগেভ লাইট মেশিন গান, টেভর-২১ এবং একে-৪৭ রাইফেলও তুলে দেওয়া হয়েছে এই এলাকায় মোতায়েন জওয়ানদের হাতে। পোর্টেবল এয়ার মিসাইল সিস্টেমও মোতায়েন রেছে এখানে।