নতুন বছরের প্রথম মাস থেকেই কাশ্মীরে পরীক্ষামূলক ভাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানো হল। কাশ্মীরের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এই বন্দে ভারত ট্রেনের ভোল পালটে ফেলছে রেল। কাশ্মীরের জন্যে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই বন্দে ভারতটিকে। এই ট্রেনটি আজ সকালে জম্মুর বৈষ্ণোদেবী থেকে ছাড়া হয়। এটি শ্রীনগর পর্যন্ত যাবে। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি অঞ্জি খাদ রেল ব্রিজ এবং চেনা ব্রিজের ওপর দিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: গড়ে উঠবে নতুন ২ কারখানা, কয়েক কোটির বিনিয়োগ হবে হলদিয়ায়)
আরও পড়ুন: 'ভারতই সব কিছুর মূলে', ভরা সভায় 'খুনের' নিদান বাংলাদেশি ইসলামি নেতার
এর আগে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের অঞ্জি খাদ রেল ব্রিজে সফল ট্রায়াল রানে ছোটে এক টাওয়ার ওয়াগন। এটি ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজ। এই ট্রায়াল রানের ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল ভারতীয় রেল মন্ত্রক। সেই পোস্টে রেল মন্ত্রক লিখেছিল, 'জম্মু ও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়া পালক জুড়ল। ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন রেল ব্রিজ, অঞ্জি খাদে সফল ভাবে টাওয়ার ওয়াগনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ইউএসবিআরএল প্রোজেক্ট।' প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিল এই অঞ্জি খাদ রেল সেতু। এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটতে পারে বলে জল্পনা ছিল আগে থেকেই। তা নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই। (আরও পড়ুন: ফের সংখ্যালঘু রক্ত ঝরল বাংলাদেশে, হিন্দু পড়ুয়াকে নৃশংস ভাবে খুন খুলনায়)
আরও পড়ুন: প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হল বাংলাদেশি তরুণীকে, দেহ মিলল কর্ণাটকের লেকের পাশে
উল্লেখ্য, একটি মাত্র স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। জানা গিয়েছে, অঞ্জি খাদ সেতুটি ১৫ মিটার চওড়া। মূল বিস্তৃতি ২৯০ মিটার। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। একটি মাত্র স্তম্ভ ধরে রেখেছে সেতুটিকে। ভিত থেকে তার উচ্চতা ১৯৩ মিটার। নদীগর্ভে আরও ৩৩১ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তম্ভটি। এই স্তম্ভের সঙ্গে ৯৬টি কেবলের সাহায্যে সেতুটিকে শূন্যে রীতিমতো ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। (আরও পড়ুন: '…ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশ', শঙ্কায় ঢুবে পড়শি দেশের সংবাদ সম্পাদক)
এদিকে এই সাসপেনশন ব্রিজকে যে তার বা কেবলগুলি শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছে, সেগুলির দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার থেকে ২৯৫ মিটার। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার। দাবি করা হচ্ছে, ৪০ কেজি বিস্ফোরকও এই সেতুটিকে উড়িয়ে দিতে পারবে না। ঘণ্টায় ২১৩ কিলোমিটার বেগে আসা ঝড়ও সেতুটিকে নাড়াতে পারবে না।
এদিকে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকেও ৩৫ মিটার উঁচু চেনাব ব্রিজ। এই ব্রিজের মাধ্যমেই ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে কাশ্মীরের। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল ব্রিজ। এই বন্দে ভারতটি এই ব্রিজের ওপর দিয়েও ছুটবে। এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। পৃথিবীর উচ্চতম রেল ব্রিজে মোট ১৭ টি পিলার রয়েছে। ১৪৮৪ কোটি টাকার ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে এই সেতু তৈরিতে। এই সেতুতে এইচ বিমের ওপরেই বসেছে রেললাইন। এই বিমগুলো যাচ্ছে কলকাতা থেকে। ১৬০০ মিটার রেল লাইন বসাতে ২৫০০ এইচ বিম যায় কলকাতা থেকে।