৩০ জুলাই ওয়েনাড়ে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে চারিদিকে যেন ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। ভূমিধসের কারণে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অসহায় এই মানুষের সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ১৩ বছর বয়সী ছোট্ট মেয়েটি। টানা তিন ঘণ্টা ভারতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করে আর্ত মানুষের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করেছে সে। মেয়েটির নাম হরিণী শ্রী।
আরও পড়ুন: (Karnataka: কর্ণাটকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের ডিম দিয়ে ছবি তোলার পর ফিরিয়ে নেওয়া হল)
এ প্রসঙ্গে, সবটা জানিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টও করেছে কেরল সরকার। কেরল সরকারের তথ্য জনসংযোগ আধিকারিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, তামিলনাড়ুর ১৩ বছর বয়সী মেয়ে, হরিণী শ্রী, ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহের জন্য একটানা তিন ঘণ্টা ভারতনাট্যম পরিবেশন করেছে। এইভাবে সে ১৫,০০০ টাকা জমা করতে পেরেছে। এই টাকা নিজে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে সে। পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কেরলের মুখমন্ত্রী কাছে নিজের ভারতনাট্যমের ঝলক দেখিয়ে আশীর্বাদও নিয়ে এসেছে মেয়েটি।
আরও পড়ুন: (Sisodia on Kejriwal: ‘কেজরিওয়াল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন যদি…’ মণীশ সিসোদিয়ার নিশানায় কারা?)
ওয়েনাড় ভূমিধসে বিরাট ক্ষতি
৩০ জুলাই কেরলের ওয়েনাড়ের চুরামালা এবং মুন্ডাক্কাইতে ব্যাপক ভূমিধসে, ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন, ১৩১ জনের হিসাব পাওয়া যায়নি। ধ্বংসাত্মক ভূমিধসের পর এখনও নিখোঁজদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনী দশ দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে, অপারেশনটি এবার এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ফায়ার ফোর্স এবং কেরল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৫০০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যের একটি ব্যাটালিয়ন ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অস্থায়ীভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মিত, বেইলি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ টিম, সেখানেই থাকবে। ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি বর্তমানে অনুসন্ধান প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে। ৩০ জুলাই ওয়েনাড়ে বিপর্যয়ের পর থেকে, হেলিকপ্টারগুলি ৭০০ কেজিরও বেশি ত্রাণ সরবরাহ করেছে৷
ওয়েনাড় ভূমিধসকে একটি জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করার দাবি
গত মাসে ওয়েনাড়ের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য তামিলনাড়ুতে ক্রাউডফান্ডিং ফেস্ট সহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভয়ঙ্কর ভূমিধসের ঘটনার পর, রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা এই ট্র্যাজেডিকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করেছিলেন। আসলে, এই ক্ষতিকারক ভূমিধসকে জাতীয় দুর্যোগ হিসাবে ঘোষণা করলে, অসহায় পীড়িত মানুষদের ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য অতিরিক্ত তহবিল পাওয়া যাবে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, কেরল সরকার কেন্দ্রকে এই ভূমিধসকে একটি জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে বলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিপর্যয় তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দাখিলের জন্য নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। বিজয়ন আরও বলেছিলেন যে এই বিপর্যয় মোকাবেলায় কেন্দ্র থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছে।