রানাঘাটে ৫ কিলোমিটার জমি নিয়ে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে দেখা দিয়েছে মতপার্থক্য। এর আগে বিজিবি দাবি করেছিল, দীর্ঘদিন ভারতের দখলে থাকা 'নিজেদের জমি' ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে বিএসএফের পালটা দাবি, বিজিবির বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং অসত্য। বরং এই এলাকা ভারতের অধীনে। এবং বিজিবি এখানে কোনও আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে। এই আবহে এবার বিজিবির তরফ থেকে পালটা বক্তব্য সামনে এসেছে। (আরও পড়ুন: মণিপুরে কি সত্যিই স্টারলিঙ্কের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল? তদন্ত শুরু কেন্দ্রের)
আরও পড়ুন: চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭-১০ টাকা, খিদে মেটাতে ভারতের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, এই কোদালিয়া নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় দিয়ে। এরপর কিছু দূর বয়ে তা মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত দিয়ে আবার ভারতের রানাঘাটে প্রবেশ করে। এখানেই প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে 'মতপার্থক্য'। উল্লেখ্য, পূর্ব পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালের মানচিত্রের বরাত দিয়ে বিজিবি দাবি করে, ওই ৫ কিলোমিটার এলাকা তাদের। আবার বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত। (আরও পড়ুন: আগে স্থানীয় নির্বাচন করাতে চান ইউনুস, BNP বলল - 'মানবা না... ষড়যন্ত্র হচ্ছে')
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে নয়া তথ্য সামনে, আছে সুখবর নাকি দুঃসংবাদ?
এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এই সময় পত্রিকার এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোদালিয়া নদীর অংশে ৫ কিলোমিটার এলাকায় নাকি বিজিবি নিজেদের 'দখল প্রতিষ্ঠা' করে। এই আবহে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল যে ভারতের জমি বাংলাদেশের দখলে চলে গিয়েছে। সেই অবস্থায় বিবৃতি প্রকাশ করে বিষয়টি স্পষ্ট করে বিএসএফ। বিএসএফ-এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার জানায়, উল্লেখিত ৫ কিলোমিটায় এলাকা নিয়ে যে সব রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'যে এলাকা নিয়ে এত চর্চা, সেটা ভারতীয় দিকে আছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রানাঘাটের বাগদা ব্লকে এই এলাকা অবস্থিত। এখানে কোদালিয়া নদীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। সীমান্তের দু'দিকেই রেফারেন্স পিলারের দ্বারা এটা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থেকেছে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারেনি। বিএসএফ এবং বিজিবি শান্তিপূর্ণ ভাবেই নিজেদের দিকে দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসতে গিয়ে BSF-এর জালে হিন্দু নাবালক)
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ভারতবাসের মেয়াদ বৃদ্ধিতে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল BNP
আর এর জবাবে এবার বিজিবির তরফ থেকে মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মহম্মদ আজিজু শাহিদ বলেন, 'ভারতীয় মিডিয়ার খবর আমাদের নজরে পড়েছে। তারা অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে। আমার যে সংবাদ ব্রিফিং করেছি, তার বিষয়ে বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার অথবা কোম্পানি কমান্ডারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অথবা মৌখিক আপত্তি এখনও আমরা পাইনি।' এদিকে প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই এলাকায় টহলের জন্যে মোটর বোট এবং অল টেরেইন ভেহিকেল বরাদ্দ করেছে বিজিবি।