অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা নাকি এতদিন ভারতের কবলে ছিল। সেই এলাকা সম্প্রতি বর্ডাগ গার্ড বাংলাদেশ নাকি উদ্ধার করেছে। বিজিবি দাবি করেছে, কোদলা নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা পশ্চিমবঙ্গের অধীনে ছিল। সেই এলাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মহেশপুর ৫৮-এর বিজিবি ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শাহিদ। এই সময় পত্রিকর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তে সেই এলাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ছিল। এই আবহে বিজিবির অভিযোগ, বাংলাদেশির সেই অংশে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ নাকি সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিত। তবে এবার কোদলা নদীর সেই অংশে বাংলাদেশি 'দখল' প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ওপার থেকে এপারে অনুপ্রবেশের সময় BGB-র জালে ৪ হিন্দু সহ ৮ বাংলাদেশি, মিলল আধার)
আরও পড়ুন: মেট্রোর কাজের 'শেষের শুরু' বউবাজারের মাটির নীচে, বছরের শুরুতেই রইল বড় আপডেট
এই বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য, মাটিলা সীমান্ত ঘেঁষে কোদলা নদী বয়ে গিয়েছে। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নাকি বাংলাদেশি ভূখণ্ডের অধীনে। এই এলাকায় অবশ্য বাংলাদেশিরা নাকি যেতে পারত না। এই আবহে সম্প্রতি বিএসএফ-এর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বিজিবি। আর সেই আলোচনার মাধ্যমেই এই এলাকায় বিজিবি নিজেদের 'দখল প্রতিষ্ঠা' করে। এই আবহে এখন বাংলাদেশিরা নদীর এই অংশে স্নান করা থেকে মাছ ধরতে পারবেন। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা, পরবর্তী শুনানি কবে?)
এদিকে গত ১ জানুয়ারি নাকি ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বিজিবির হাতে ধরা পড়েছিল দুই ভারতীয়। সেই ঘটনা অবশ্য ঘটেছিল মেঘালয়-সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে। ধৃতদের নাম লোকাস (বয়স ৫৫ বছর) এবং ব্লোমিং স্টার (বয়স ৩২ বছর)। বিজিবি দাবি করে, ধৃত লোকাস হলেন শিলংয়ের বার্মনটিলা গ্রামের বাসিন্দা। আর ব্লোমিং স্টার হলেন ওয়ামলিংক গ্রামের বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: বিদায় বেলায় ভারতকে 'উপহার' বাইডেনের, বার্তাবাহক মার্কিন NSA বললেন...)
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। তবে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পরে পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। তবে এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেই দেশে। বরং দিনকে দিন যেন অরাজকতা বেড়েই চলেছে। আর তার আঁচ এসে পড়ছে এপারেও। এরই মাঝে আবার বিগত দিনে বাংলাদেশ সীমান্তে বহু বাংলাদেশি পাচারকারী বিএসএফ-এর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। সেই দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে মাদক পাচারের চেষ্টা হোক কি ভারত থেকে গরু, সোনা পাচারের চেষ্টা, দৃঢ় ভাবে সেই সব রুখে দিয়েছে বিএসএফ।