আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডাক্তার সহ গোটা বাংলার য়েক কোটি সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক রং ভুলে অনেকেই শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা নিয়ে 'রাত দখল' বা বিভিন্ন মিছিলে যোগ দিচ্ছেন। এরই মাঝে জুনিয়র ডাক্তাররা জারি রেখেছেন তাঁদের কর্মবিরতি। এই সবের মাঝে সম্প্রতি হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি করে মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এরই মাঝে আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকার দাবি করল, ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ৬ লাখ রোগী নাকি এই সময়কালে চিকিৎসা পাননি। যদিও জায়গায় জায়গায় অভয়া ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। এদিকে আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, অবিলম্বে যদি সব চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে যদি এরপরও কর্মবিরতি জারি থাকে, তাহলে রাজ্য সরকার নিজের মতো করে পদক্ষেপ নিতে পারবে। তবে এরপর চিকিৎসকদের তরফ থেকে আইনজীবী দাবি করেন, আরজি কর প্রতিবাদে যোগ দেওয়া চিকিৎসকদের এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। (আরও পড়ুন: এসপি দাসের সঙ্গে CJI চন্দ্রচূড়ের স্ত্রীর 'যোগ' নিয়ে পোস্ট ভাইরাল,মুখ খুলল পুলিশ)
আরও পড়ুন: 'পছন্দ হল?' হংকংয়ে পুরুষ নার্সের গোপনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টার অভিযোগ সন্দীপের নামে
আরও পড়ুন: 'দখলের রাতে' এবার রব উঠল 'জস্টিস ফর কোন্নগর', কিন্তু মশাল হাতে ওরা কারা?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধ সত্ত্বেও লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তার জেরে গোটা রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কোন্নগরের যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে গতরাতে কোন্নগরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠি হয়েছিল। সেখানে 'জাস্টিস ফর কোন্নগর' স্লোগান উঠেছিল। আর এর মাঝেই আজ শীর্ষ আদালতে 'রোগী মৃত্যু' নিয়ে রাজ্যের দাবি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, 'রোগী মৃত্যু' নিয়ে রিপোর্টটি ফাইল করা হয়নি। এই আবহে তিনি সেই নথি চান। তুষার মেহতা বলেন, 'এখনে তো লুকোনোর কিছু নেই।' (আরও পড়ুন: নৈহাটিতে নৈরাজ্য, 'দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ', ফের উর্দিধারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: সংগঠন নিয়ে 'বিতর্ক', সেই রিমঝিমের সঙ্গে দেখা নির্যাতিতার মা-বাবা, কী কথা হল?
আরও পড়ুন: 'ক্ষমা চাইতে হবে', এবার অভিষেকের 'মিথ্যাচারের' বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন চিকিৎসকরা
এদিকে কোন্নগর কাণ্ডে অভিযোগ উঠেছে, কোন্নগরের বেঙ্গল ফাইন মোড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন যুবক বিক্রম ভট্টাচার্য। বিবেক নগর দ্বারিক জঙ্গল বাই লেনে মা ও দিদিমার সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন বিক্রম। শুক্রবার তাঁর দুই পায়ের উপর দিয়ে লরি চলে যায়। প্রথমে শ্রীরামপুর হাসপাতালে এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নাকি বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এরপরে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার দাবি করেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। যদিও দাবি করা হচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অন্তত ২ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন যুবক। তার পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন আরজি করের এমএসভিপি। তিনি জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি রয়েছ তাদের কাছে। কপিল সিব্বলকে তিনি বলেন, 'এতে লুকোচুরির কী আছে?'