ক'দিন আগেই বলেছিলেন 'বাংলাদেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে'। আর গতকাল ফের বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর কথায়, পরিস্থিতি ‘ভালো’ করতে বাংলাদেশে পাঠানো হোক তাঁদের। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সিদ্দিকুল্লা বলেন, 'উভয় দেশের নাগরিক আদান-প্রদান, আলোচনা হোক। তা হলে পরিস্থিতিটা ভালো হবে। দরকারে আমাদের পাঠাক। ওঁদের বোঝাতে হবে, ভারতের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেও নমাজ-সহ সব কিছু করতে পারে।' (আরও পড়ুন: 'এক মুখ্যমন্ত্রীর তো কথার ওজন থাকবে', মমতার মন্তব্য এখনও হজম হচ্ছে না ইউনুসদের)
আরও পড়ুন: শুরুতেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম, প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় পঞ্চম চার্জশিট ইডির
আরও পড়ুন: '…কী হল এত আন্দোলন করে?', উপনির্বাচনের ফল নিয়ে মুখ খুলল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার প্রভাব পড়েছ এপার বাংলার রাজনীতিতে। রাস্তায় নেমে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার এবং এখানের মমতার সরকারকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন পড়শি দেশে। এই আবহে কয়েকদিন আগে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেছিলেন, 'বাড়াবাড়ি হচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিজেপি নিয়ে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বসে রয়েছেন হিন্দুরা। থানার বড় বাবু, বিচারপতি, এসপি, ডিএম, কত হিন্দু। এগুলো দেখা যায় না? মাদ্রাসার ছেলেরা মন্দির পাহারা দিয়ে পুজো করার সুযোগ করে দিয়েছে। এগুলো দেখতে পান না? পালটা হামলা যারা করছে, তারা অস্থির মস্তিষ্কের। বাংলাদেশে কোথায় কি ঘটেছে, প্রকৃতপক্ষ কতটা... অত্যাচার হলে নিশ্চিত ভাবে তার নিন্দা করতে হবে। তবে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।' (আরও পড়ুন: হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ে!)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশ ভেঙে পৃথক হিন্দুদেশ...', 'ফর্মুলা' বাতলে দিলেন প্রাক্তন সেনা কর্তা!
আরও পড়ুন: '...গুজরাট ২০০২-এর মোদীকে ফেরত চাই', বাংলাদেশ নিয়ে এ কী বললেন তথাগত?
এরপর সিদ্দিকুল্লা আরও বলেছিলেন, 'এখানে যখন বাবরি মসজিদের বিষয়ে বাংলাদেশ মুখ খুলেছিল, তখন মোদীজি বলেছিলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউনুস সাহেবও ভালো উত্তর দিয়েছেন - এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সন্ন্যাসী যদি অপরাধ করে অপরাধী, ইমাম অপরাধ করলে অপরাধী। ভালো সন্ন্যাসী হলে কি অপরাধ করবে? সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ৪০ বছর ধরে কাজ করছে, সবার সামনে বলছি, ক'টা থানায় কেস দেখেছেন? অপরাধ হল অপরাধ।' (আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসায় ব্যথিত ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক, অকপটে বললেন - ‘যা ঘটছে, তা…’)
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা, গর্জে উঠলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একদিন আগেই আবার সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।