শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এবার সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকেও জামিন পেলেন কুন্তল ঘোষ। সুপ্রিম কোর্ট এই জামিন মঞ্জুর করেছে। অবশ্য কুন্তলকে জামিন দিলেও কিছু আদালত কিছু শর্ত আরোপ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযাী, এই মামলাটি বিচারাধীন থাকার সময় কোনও সরকারি পদে থাকতে পারবেন না কুন্তল। এদিকে ট্রায়াল কোর্টের অনুমতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কুন্তলকে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে মিডিয়ার সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কুন্তলকে। (আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে রাজ্য ডিএ বাড়াবে, এরপর বাজেটেও থাকবে 'চমক', ৪ কিস্তিতে মিলবে বকেয়া)
আরও পড়ুন: আছে আরও তেল! পশ্চিমবঙ্গে ১০০ বর্গকিলোমিটার জমিতে খননের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: কলকাতাতেও আকাশ থাকবে মেঘলা, বৃষ্টি কি হবে? ফের পারদ নামবে কবে?
এদিকে কুন্তলদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ছাড়া পেলে প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা থাকবে বলে দাবি করেছিলেন সিবিআই আইনজীবী। তবে শর্ত সাপেক্ষে কুন্তলকে জামিন দিল শীর্ষ আদালত। এর আগে চলতি মাসেই শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন বহিষ্কৃত এই যুব তৃণমূল নেতা। ইডির পরে এবার সিবিআই মামলাতেও জামিন পাওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন কুন্তল। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে নোটিশ সৌগত রায়ের, 'অসন্তুষ্ট' মমতা: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'ভাসুর মনে হয়…', বাংলদেশ নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের তোপ বামেদের,'কিউট' বললেন BJP নেতা
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর ২টি ফ্ল্যাটে দিনভর তল্লাশির পর গ্রেফতার হয়েছিল কুন্তল। এর পর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই আবহে বিগত প্রায় ২৩ মাস ধরে জেলে রয়েছেন বহিষ্কৃত এই যুব তৃণমূল নেতা। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। অভিযোগ ছিল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন কুন্তল। এদিকে নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল তদন্তকারীদের কাছে নাকি দাবি করেছিলেন, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সব মিলিয়ে কুন্তল মোট ১৯ কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: জেলে ভরেই খান্ত হল না বাংলাদেশ, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ওঠে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ, মুখ খুলল সেই সেনা
এদিকে গত ২০২৩ সালে যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম বলানোর জন্য ধৃতদের ওপর চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এরপরই কুন্তল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানান যে তাঁকে দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দ্রুত কুন্তল ও অভিষেককে জেরা করা উচিত তদন্তকারীদের। সেভাবে কুন্তলের মাধ্যমেই এই মামলায় না জড়িয়েছিল অভিষেকেরও।