লাগাতার আন্দোলন। দিনের পর দিন ধরে শাসকের চোখে চোখ রেখে চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। আর সেই আন্দোলনের চাপে অবশেষে পিছু হঠল কেন্দ্রীয় সরকার। বাতিল করা হল কৃষি আইন। গুরুনানক জয়ন্তীতে দেশবাসীর উদ্দেশে জানিয়ে দিলেন মোদী, প্রত্যাহার করা হচ্ছে কৃষি আইন। এদিক কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এই আন্দোলনের চাপেই যে মোদী সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে সেটা একবাক্যে স্বীকার করছেন বাম নেতৃত্ব। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মুখে নানা কথা বললেও আন্দোলনের রাস্তা থেকে কার্যত সরে এসেছেন বাংলার বাম নেতৃত্ব। তবে কী এবার কৃষক আন্দোলন থেকে বড় শিক্ষা পেলেন বাম নেতৃত্ব? তবে বলে রাখা ভালো, আগেই এই কৃষক আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিলেন বাম নেতৃত্ব।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দম্ভের অবসান হল। এই জয় সাধারণ কৃষকদের জয়। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, গায়ের জোরে বিল পাস করেছিল কেন্দ্র। এই আন্দোলনে ১০০ জনের বেশি কৃষক প্রাণ দিয়েছেন। তাঁদের রক্তের বিনিময় ব্যর্থ হয়নি। কিন্তু যে কৃষকরা তাঁদের মহামূল্যবান জীবন দিলেন তা কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন মিস্টার মোদী? অন্য়দিকে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, এ এক ঐতিহাসিক জয়। আমি স্বাধীনতা আন্দোলন দেখিনি। এই আন্দোলন দেখলাম। ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলনের চাপেই আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। আমরাও শিখলাম।আন্দোলনের ধারা আগামী দিনে এমনটাই হবে।