অস্থির বাংলাদেশ। তার মধ্য়েই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন নাহিদ ইসলাম। কে এই নাহিদ? বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন নেতা ও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য় ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি লিখেছেন, 'ভারতের শাসক বিভাজনের রাজনীতি করছে। বাংলাদেশ বিরোধী একটা বিষয়কে সামনে আনছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসমের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রেখে এসেছে। বাংলাদেশের উত্থানের সময় কলকাতা ও দিল্লির পডুয়ারা আমাদের সংহতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। ভারতের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষরা আমাদের বন্ধু। কিন্তু ভারতের শাসক ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতিকে দেখে না। তারা ওই আন্দোলনকে হুঁশিয়ারি হিসাবে দেখেছিলেন। তার ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণার জন্ম দিয়েছে। সংখ্যালঘু নিপীড়নের একটা ন্যারেটিভ ব্যবহার করে দিল্লি ফ্য়াসিস্ট আওয়ামি লীগকে আনতে চাইছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও দেশ গঠনের কাজকে বাধা দিতে চাইছে।'
তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম থেকে আমরা জোরের সঙ্গে বলছি ভারত সরকার আওয়ামি লীগের চশমা দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা বন্ধ করুক। একটা নতুন সম্পর্ক স্থাপন করুন পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশ সমস্ত সংখ্য়ালঘুদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষা দিতে বদ্ধ পরিকর। তার মধ্যে হিন্দুরাও পড়ছেন। আওয়ামি লীগের সময় সংখ্য়ালঘুদের উপর সবথেকে বেশি অত্যাচার হত। তারপরেও দিল্লি শর্তহীনভাবে আওয়ামি লীগকে সমর্থন করেছে। ভারত যখন তাদের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে পারেনি তখন তারা আওয়ামি লীগকে সাপোর্ট করেছে। যারা বাংলাদেশে গণহত্যা ও সংখ্য়ালঘু নির্যাতন করেছে।’
‘…ভারতের এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাদের স্থিরতা ও একতাবদ্ধতা নির্ভর করছে বাংলাদেশের স্থিরতার উপর। বিজেপি বাংলাদেশের বিষয়কে ভারতের অভ্যন্তরীন রাজনীতির ইস্যু বানাতে চাইছে। বাংলাদেশ বিরোধী ও মুসলিম বিরোধী রাজনীতি ভারতের ঐক্য বজায় রাখবে না, জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করবে না। আমরা ভারতকে বলছি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার করবেন না গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্প্রীতিকে তুলে ধরুন।’ লিখেছেন নাহিদ ইসলাম।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অত্যন্ত সুকৌশলে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নাক গলিয়ে বিভাজনের একটা বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। সেই সঙ্গেই যে দেশে হিন্দু সংখ্য়ালঘুদের উপর একের পর এক নির্যাতন হচ্ছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই দেশের প্রতিনিধি হয়ে তিনি ভারতের সংখ্যালঘু নিয়ে মন্তব্য করছেন। তবে কি নিজেদের দোষ আড়াল করতে এখন নানা কৌশল নিচ্ছে বাংলাদেশ?